ঘরের এক কোণে অ্যাকুয়ারিয়ামে নানান রঙের মাছগুলো ছুটাছুটি করছে। এগুলো দেখতে দেখতে ভালো সময় কেটে যায় আপনার। সময়ে সময়ে তাদের যত্নও নিচ্ছেন, খাবার দিচ্ছেন। গরমে আপনার নিজের যেমন হাসফাস করেছেন মাছেরও তেমনি কষ্ট হয়। তাই মাছের জন্য আলাদা ভাবে অনেক ব্যবস্থা করেছেন তারপরও শখের মাছগুলো বাঁচাতে পারছেন না। কেন জেনে নিন-
- কিছু কিছু মাছ আছে যারা একাই থাকতে পছন্দ করে। এখন সেই মাছগুলোকে যদি অনেক ধরণের মাছের সঙ্গে রাখেন তাহলে তাদের বাঁচানো কঠিন। আবার দেখা গেলো ছোট একটা অ্যাকুরিয়ামে একসঙ্গে ছোট বড় অনেক ধরণের মাছ রেখেছেন। সেটাও করা যাবে না। ছোট-বড় মাছ মিলিয়ে রাখতে চাইলে বড় অ্যাকুয়ারিয়াম দরকার হয়। আর যদি ছোট অ্যাকুয়ারিয়াম রাখতে চান তবে সেখানে একই জাতের ছোট ছোট মাছ রাখতে পারেন যেমন গাপ্পি, টেট্রা, হার্লি কুইন রাসবোরা, লিলি। তাই অ্যাকুরিয়াম কেনার ক্ষেত্রে বুঝে কিনতে হবে। না হলেই বিপদ।
- অ্যাকুরিয়ামে মাছ ছাড়ার আগে অন্তত পক্ষে পাঁচ থেকে সাত দিন পানি ভরে রাখতে হবে। তার মধ্যে মাছ থাকলে যে সব যন্ত্রপাতি চলে, স্বাভাবিকভাবেই সেগুলো চালু রাখতে হবে। এই ‘সাইক্লিং’ পদ্ধতি পানির ভেতর নাইট্রোজেন এবং ভালো ব্যাকটেরিয়ার সমতা বজায় রাখবে। নতুন পরিবেশের সঙ্গে মাছ সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।
- অ্যাকুয়ারিয়ামের পানির তাপমাত্রা যত বেশি থাকবে সেই পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ ততই কম হবে। খাবারের উচ্ছিষ্ট এবং মাছেদের শরীরের বর্জ্য থেকে পানি দূষিত হয়। ফলে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই পানিতে এয়ার পাম্পের সাহায্যে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ এবং ফিল্টারের ব্যবস্থা করতে হবে। তাই মাছ মরে গেলে অবশ্যই খেয়াল করবেন এয়ার পাম্প ঠিক ভাবে কাজ করছে কি না।
- অনেক সময় না বুঝে মাছের খাবার বেশি দিয়ে ফেলেন। এখানেই বিপদ। অ্যাকুরিয়ামে খাবার দেওয়ার মিনিট খানেকের মধ্যে মাছ যতটুকু খাবার খেতে পারে, সেটুকুই তাদের জন্য বরাদ্দ করতে হবে। বেশি খাবার পেলে সে আয়ত্তের বাইরে গিয়ে খেয়ে ফেলবে। তাতেই হিতে বিপরীত হবে।
- গরমে অ্যাকুরিয়ামের মাছগুলোকে কম প্রোটিনযুক্ত এবং বেশি ফাইবার আছে, এমন ধরনের খাবার দিন। এতে মাছের খাবার হজম করতে সহজ হবে। না হলেই বিপদ।
- কয়েকধরণে মাছ একসঙ্গে রাখার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। কারণ এমনও কিছু মাছ আছে যেগুলো অন্য মাছদের খেয়ে ফেলে। যেমন- অ্যালগি-ইটার। এই বিশেষ ধরনের মাছ শ্যাওলা খেতে খুবই পছন্দ করে। কিন্তু এরা কিছু কিছু মাছের আঁশ খেয়ে নেয়। ফলে সেই সব মাছের ত্বকে সংক্রমণ হয়ে তারা মারা যেতে পারে।