• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঢাবির প্রিয় ‘মামা হোটেল’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
ঢাবির প্রিয় ‘মামা হোটেল’
ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীরা বরাবরই একটু সাশ্রয়ী হয়ে খরচ করেন। তাদের খাওয়া দাওয়া, চলাফেরা সবকিছুই যেন হিসেবের মধ্যেই থাকে। কেননা পকেট খরচের টাকা দিয়েই এসব সারতে হয়। কেউ তো টিউশন পরিয়ে লেখাপড়া, খাওয়া দাওয়ার খরচ চালিয়ে নেন। ধনীদের সন্তানরা যদিও একটু ভিন্ন প্রকৃতির হয়। তবে যেকোনো মুখরোচক খাবারের দিকে সব শিক্ষার্থীই আকৃষ্ট হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বা ভেতরের খাবারের দোকানগুলো বরাবরই জনপ্রিয় হয়ে থাকে। দিনের অধিকাংশ সময়ই শিক্ষার্থীদের ভিড় দেখা যায় সেখানে। কেনই বা নয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেই দোকানগুলোতে আড্ডায় মেতে উঠেন যে তারা। সেভাবেই প্রজন্মের পর প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের খাবারের দোকানগুলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মামা হোটেল তেমনই একটি। যা ষোলআনা ‘ভাতের হোটেল’। ভাত আর অন্যান্য বাঙালি পদের রান্না হয় এই হোটেলে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এমনকি বাইরের শিক্ষার্থীরাও সেখানে খেতে আসে মাঝে মধ্যেই।

জানা যায়, মামা হোটেলের উদ্দ্যোক্তা কাসিম উদ্দিন। নব্বইয়ের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের গেটের সামনেই খাবার বিক্রি শুরু করে। ওই সময় খিচুড়ি বিক্রি হতো। তাও আবার ভ্যানে করে। তখন থেকেই  সবার প্রিয় ‍‍`মামা‍‍`। যা পরবর্তী সময়ে মামা হোটেল নামে পরিচিতি পায়।

২০০২ সালে মামা হোটেল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে। যেখানে ভাত ও বাঙালিয়ানা পদের জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠে। হোটেলের উদ্দ্যোক্তা কাসিম মামা তো আর নেই। কিন্তু তার স্ত্রী ও তিন ছেলে মিলেই বাবার এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।

মামা হোটেলে দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গরম ভাত পাওয়া যায়। বাঙালিয়ানা মেন্যুতে রয়েছেন চিকেন ঝাল ফ্রাই, গরু ও খাসির কলিজা, বিভিন্ন মাছের তরকারি, ডাল, বাহারি সবজি, ভর্তা-ভাজি। তবে মামা হোটেলের জনপ্রিয় হচ্ছে তাদের নিজস্ব পদ– পেঁয়াজের ভর্তা কিংবা সালাদ। যা ভাতের সঙ্গে সৌজন্য হিসেবেই দেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের অন্যান্য কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও কর্মীরা মামা হোটেলে নিয়মিত আসা যাওয়া করেন। ঘরোয়া খাবারের স্বাদ পাওয়ায় এই হোটেল অল্পদিনের মধ্যেই লোকপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এই হোটেলের খাবারের মূল্যও কম। যা শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে। মামা হোটেলের রান্না করা খাসির মগজ, চিংড়ির পদ আর ডাল ভর্তা বেশ জনপ্রিয়। যার মূল্যও ছিল তুলনামূলক কম। তাছাড়া এখানে যত ইচ্ছে সালাদ পাওয়া যায়। যা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন।

স্থানীয়রা জানান, মামা হোটেলে দুপুর ও রাতের খাবারের সময় বসার জায়গাই  খুঁজে পাওয়া যায় না। ক্রেতারা কয়েকটা মিনিট অপেক্ষা করতে আপত্তি জানান না। খাবারের বৈচিত্র্যতার জন্যই এই হোটেল এখনও জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে।

Link copied!