বিরিয়ানি অনেকেরই প্রিয় খাবার। বিরিয়ানির নাম শুনলেই কেমন যেন একটা আমেজ তৈরি হয়। যদিও বিরিয়ানি বলতেই গরু, মাটন আর চিকেনের কথাই মাথায় আসে। কিন্তু চিংড়ি দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করেছেন কখনো! রান্নায় ফিউশন যোগ করতে গলদা চিংড়ির বিরিয়ানি রান্না করে খেতে পারেন। অসাধারণ স্বাদের হয় এই বিরিয়ানি।
যা যা লাগবে
- বাসমতী চাল: ৪০০ গ্রাম
- গলদা চিংড়ি: ৪টি
- তেল
- আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ
- মরিচ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
- টক দই: ১/৪ কাপ
- বিরিয়ানি মশলা: ১ টেবিল চামচ
- লবণ: স্বাদমতো
- দারুচিনি: ১ ইঞ্চি
- ছোট এলাচ: ৪টি
- লবঙ্গ: ২-৩টি
- বড় এলাচ: ১টি
- স্টার অ্যানাইস: ১টি
- জয়িত্রী: ছোট একটা টুকরো
- জায়ফল: ছোট একটা টুকরো
- ঘি: ৩ টেবিল চামচ
- তেজপাতা: ১০টিবে
- রেস্তা আধ কাপ
- কাঁচা মরিচ: ২টি
- এক চিমটি কেশর
যেভাবে বানাবেন
একটি হাঁড়িতে পানি গরম করে তাতে লবণ, দারুচিনি, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, বড় এলাচ, স্টার অ্যানাইস, জয়িত্রী এবং জায়ফল দিন। পানি ফুটে উঠলে তাতে ধুয়ে রাখা বাসমতী চাল দিয়ে দিন।
চাল মোটামুটি ৮০ শতাংশ সিদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে নিন। ভাতের পানি ঝরিয়ে রাখুন।
একটি কড়াইয়ে সাদা তেলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি করে ভেজে বেরেস্তা বানিয়ে তুলে নিন। এই তেলেই একে একে চিংড়ি, আদা-রসুন বাটা, বিরিয়ানি মশলা, টক দই, লবণ, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো দিয়ে হালকা আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। তেল ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করে নিন।
এবার একটি ভারী হাঁড়িতে ভালো করে ঘি মাখিয়ে নীচে তেজপাতাগুলো বিছিয়ে দিন। এর উপরে বাসমতী চালের ভাত দিন। এরপর গলদা চিংড়ি ও মশলা দিয়ে দিন। তার উপর আবার ভাত দিন। বেরেস্তা দিয়ে দিন। সবশেষে দুধে কেশর গুলিয়ে ছড়িয়ে দিন। আটা মেখে হাঁড়ির মুখ সিল করে দিন। এবার হাঁড়িটা মাঝারি আঁচে ৮ মিনিট রান্না হতে দিন। গ্যাস বন্ধ করে আধ ঘণ্টা দমে রাখুন। এরপর গরম গরম পরিবেশন করুন গলদা চিংড়ি বিরিয়ানি।