• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বিশ্বের বিপজ্জনক যেসব বিমানবন্দর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম
বিশ্বের বিপজ্জনক যেসব বিমানবন্দর
ছবি: সংগৃহীত

ভ্রমণ কে না ভালোবাসে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সবাইকেই ভ্রমণ করতে হয়। সেই ভ্রমণ বেশ ক্লান্তিকর। তবে এই ভ্রমণকেই আরও সহজ করার জন্য মানুষ দ্রুত গতির অনেক বাহন আবিষ্কার করেছে। তার মধ্যে বিমান অন্যতম।

অনেক তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বিমান উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করেছে বিমান। তবে বিমান অবতরণের সময় আপনি যদি সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দরের সম্মুখীন হন, তবে তা হবে আপনার জন্য অনেকটাই ভীতিকর। কারণ সেই সব বিমান বন্দর থেকে বিমান টেক অফ করা বড় চ্যালেঞ্জের চেয়ে কম নয়। আশপাশের ভূ-প্রকৃতি, আগে থেকেই গতি-প্রকৃতি বোঝা যায় না এমন আবহাওয়া, ছোট্ট রানওয়ে সবকিছু মিলিয়ে পাইলটদের দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয় এসব বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামার সময়।

পারো বিমানবন্দর
বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দরের তালিকা তৈরি করলে ভুটানের পারো বিমানবন্দরের নাম সবার শীর্ষে থাকবে। হিমালয়ের মাঝে অবস্থিত ভুটানের একমাত্র বিমানবন্দর, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ হাজার ৩৬৪ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত। এই বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করতে হয় এঁকেবেঁকে। অবতরণের পর প্রচণ্ড গতিতে চলমান অবস্থায়ই বিমানকে বাঁক নিতে হয়। পাইলটদের এই বিমানবন্দরে অবতরণ বা উড্ডয়নের সময় উঁচু সব পর্বতের পাশাপাশি বাতাসের অপ্রত্যাশিত বিক্ষিপ্ত আচরণ, একমাত্র রানওয়েতে হঠাৎ খাঁড়া নামা বা ওঠা এমন বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। এই বিমানবন্দরে মাত্র  কয়েকজন পাইলটকে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্লেন শুধু দিনের বেলায় সেখানে অবতরণ বা টেক অফ করতে পারে।

ফ্রান্সের  কুরশেভেল বিমানবন্দর 
কুরশেভেল বিমানবন্দর সমুদ্র সমতল থেকে ৬ হাজার ৫৮৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এই বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগেই একের পর এক পাহাড় ডিঙাতে হয় উড়োজাহাজকে। এই বিমানবন্দরের রানওয়েটি ১ হাজার ৭৬১ ফুট লম্বা। বেশ খাড়াও, আর নিম্নমুখী ঢালের মাত্রা ১৮.৫ শতাংশ। এছাড়াও এই বিমানবন্দরে কোনো আলোর ব্যবস্থা না থাকায় ঘন কুয়াশা, বৃষ্টি ও তুষারপাতের সময় অবতরণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

জিব্রাল্টার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
যুক্তরাজ্যের জিব্রাল্টার বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি মনোলিথ কিংবা একশিলা স্তম্ভকে মুখোমুখি পাবেন। রানওয়েটি পাথরের খাঁড়া দেয়াল ও শহরের মাঝখানে। শেষপ্রান্তে দুই পাশেই সাগর। কাজেই পাইলটদের থাকতে হয় খুব সতর্ক। তবে এই বিমানবন্দরের সবচেয়ে বড় চমকটি হলো রানওয়েটি চলে গেছে একটি ব্যস্ত সড়কের মাঝখান দিয়ে। ফলে প্রতিবার কোনো উড়োজাহাজ ওঠার বা নামার সময় রাস্তাটি বন্ধ করে দিতে হয়।

প্রিন্সেস জুলিয়ানা বিমানবন্দর
ক্যারিবীয় দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের এই বিমানবন্দরটির অবস্থান। এর সঙ্গে একটি সাগর সৈকত লাগোয়া। সেখানকার প্রিন্সেস জুলিয়ানা বিমানবন্দরের রানওয়ে মাত্র ৭ হাজার ১০০ ফিট লম্বা। যার এক পাশে মাহো সৈকত, আরেক পাশে পর্বত। এই বিমানবন্দরটি ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি।  প্রিন্সেস জুলিয়ানা বিমানবন্দরে যথাযথভাবে অবতরণ করতে সমুদ্রসৈকতের ছোটোখাটো অংশ, সুরক্ষিত দেয়াল, রাস্তা পার হয়ে রানওয়েতে প্রবেশ করতে হয়। যেখানে একটি বড় আকারের বিমান যাতায়াতের জন্য ন্যূনতম ৮০০০ ফুট রানওয়ের প্রয়োজন সেখান এই বিমানবন্দরে মাত্র ৭০০০ ফুট রয়েছে। যার ফলে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি হয়ে ওঠেছে।

বাররা বিমানবন্দর
স্কটল্যান্ডের প্রত্যন্ত দ্বীপ বাররায় অবস্থিত একমাত্র বিচ বিমানবন্দরটিকে। এই বিমানবন্দরটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি রোমাঞ্চনুভূতি পুরো মাত্রায় উপভোগ করেন যাত্রীরা। এই বিমানবন্দরে অবতরণ ও উড্ডয়ন করা পাইলটদের আবহাওয়া পরিবর্তনের পাশাপাশি সাগরের জোয়ার-ভাটার দিকে খেয়াল রাখতে হয়। কারণ জোয়ারের সময় এখানকার তিনটি রানওয়ের পুরোপুরি পানির নিচে চলে যায়। বিমানবন্দরটি যখন চালু থাকে তখন অবতরণের জায়গা থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে দর্শনার্থীদের সতর্ক করে রাখা হয়। 

Link copied!