নারীরা সৌন্দর্য্যের প্রতীক। নারীদের সৌন্দর্য্যে মোহিত হয়ে বহু নর প্রাণ দিয়েছে। সংঘঠিত হয়েছে যুদ্ধও। নারীদের সৌন্দর্য্যের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। যে নারী যত সুন্দর তার কদরও তত বেশি। বিশ্বের এমনও দেশ রয়েছে যেখানে প্রায় অধিকাংশ নারীই সুন্দর। অর্থাত্ সেসব দেশের নারীদের সুন্দরের প্রশংসা হয় বিশ্বজুড়ে। জানেন কি, বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নারীদের বসবাস কোন দেশে?
সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েদের অবস্থান নিয়ে একটি সার্ভেও করা হয়। সার্ভে অনুযায়ী সুন্দর নারীদের অনেক বিষয়কেই গুরুত্ব দিয়ে সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে ইউরোপীয় সংস্থা দ্বারা একটি সমীক্ষাও চালানো হয়। যেখানে গবেষকরা নারীদের ত্বকের রঙ এবং চোখের রঙসহ অনেক কিছুর উপরই নজর রেখেছিলেন। তাছাড়া যে দেশের যেকোনো পুরুষ সহজেই সে দেশের কোনও নারীর সঙ্গে ডেটিংয়ে যেতে প্রস্তুত থাকেন এবং নারীরা প্রতারিত হন না, বরং জীবনসঙ্গী হিসেবে প্রাধান্য পান, সেই দেশের নারীদেরকেই সুন্দরের তালিকার শীর্ষে রাখা হয়।
গবেষকরা জানান, বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের বসবাস যে দেশে রয়েছে, সেই দেশের নাম ইউক্রেন। অবাক হলেও সত্যি, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ ইউক্রেনীয় নারীরা সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বলে বিবেচিত হয়। তালিকায় ইউক্রেনের পরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুইডেন। সেই দেশের নারীরাও বেশ সুন্দরী। এরপর তালিকায় উঠে এসেছে পোল্যান্ড, নরওয়ে, বেলারুশ, তুর্কি এবং রাশিয়ার সুন্দরী রমনীরা।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ইসরায়েলি নারীরাও বেশ সুন্দরী। যাদের স্থান এই তালিকায় রয়েছে। তবে সুন্দরী হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েলি নারীরা বেশ হিংস্র হন। কারণ তাদেরকে সেনাবাহিনীতে দুই বছর চাকরি করতে হয়। বিশ্বের একমাত্র ইহুদি দেশ এটি। যেখানে সব নাগরিকের সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক। ইসরায়েলি নারীরাও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নারীদের তালিকায় পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপের দেশের নামও উঠে এসেছে। যেখানে শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। ইউরোপীয় সংস্থার এই গবেষণাটি সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই এসব দেশের নারীদের সৌন্দর্য্যের দিকে আরও একবার দৃষ্টি যায় নেটিজেনদের।