টাকা ছাড়া কিছুই হয় না। প্রতিনিয়তই মানুষ টাকা রোজগারের জন্যই ছুটছে। সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে টাকা থাকা প্রয়োজন। নিজের চাহিদা, পরিবারের চাহিদা মেটাতে টাকা খরচ করতে হয়। তাই টাকা রোজগার করাও অত্যন্ত জরুরি।
কিছু সময় থাকে যখন পকেটে টাকা থাকে না। প্রয়োজন মেটাতে অন্যের কাছে ধার করতে হয়। আবার অনেককে হয়তো ধারও দিতে হয়। সেই ধারের টাকা ফিরে পেতে অনেকটা সময় লেগে যায়। কিংবা যিনি ধার করেছেন তিনি বেমালুম ভুলেও যেতে পারেন। তখন ধারের টাকা ফিরে না পাওয়ার চিন্তা মাথায় চেপে বসে। কখনও কখনও ধার ফিরিয়ে না দেওয়ায় সম্পর্কও নষ্ট হতে পারে। তাই কাউকে ধার দেওয়ার আগে কিছু বিষয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো।
- টাকা ধার দেওয়ার আগে চুক্তি করে নিন। টাকা পরিশোধের শর্ত দিন। সেই শর্ত অনুযায়ী ধার দিন। যেখানে ধার দেওয়ার সময় ও টাকার পরিমাণ লেখা থাকবে এবং তা কবে, কখন পরিশোধ করা হবে তাও উল্লেখ থাকবে। এতে পরবর্তী সময়ে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।
- ধারের টাকা কীভাবে বা কী উপায়ে ফেরত দেওয়া হবে তাও জেনে নিন। চুক্তি সময় শেষ হওয়ার আগেই তাকে একবার স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন।
- কাকে ধার দিচ্ছেন তা খেয়াল রাখুন। বন্ধু বা স্বজনদের মধ্যে হলে তার নীতি সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানেন। যদি বিশ্বাসী হয় কিংবা ধারের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার মানসিকতা থাকে বলে মনে হয় তবেই ধার দিন। যারা এই ব্যাপারে উদাসীন তাদের ধার দিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।
- ধার দেওয়ার আগে দেখুন আপনার কাছে পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে কিনা। ধার দেওয়ার পরও আপনি আপনার চাহিদা মেটাতে পারবেন কিনা। এমন যেন না হয়, অন্যকে ধার দিয়ে আপনি নিজেই খালি হয়ে থাকলেন। তাই ধারের টাকা দেওয়ার আগে হিসেব নিকেশ করে নিন।
- ধার পরিশোধের সময় যদি দেরীতে হয় তখন আপনি স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে নিতে পারবেন কিনা তাও খেয়াল করুন। ধারের টাকা ছাড়াও যেন আপনার কোনো সমস্যা না হয় তা দেখেই অন্যকে ধার দিন।
- ঋণগ্রহীতা বন্ধু বা আত্মীয় হলে তাকে মাসে মাসে কিস্তি করে ধার পরিশোধের সুযোগ করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতি মাসেই অল্প কিছু টাকা করে আপনার ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন।
- ধারের টাকার পরিমাণ কম হলে তা উপহার হিসেবে দিয়ে দিতে পারেন। যদি সেই টাকা না ফিরে পেলে আপনার কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে হয় তবে উপহার দিয়ে দেওয়াই উদারতা হবে। ঋণগ্রহীতারও উপকার হবে।
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস