• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দোল পূর্ণিমার খাবারে রঙিন মঠ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম
দোল পূর্ণিমার খাবারে রঙিন মঠ
ছবি: সংগৃহীত

হিন্দু ধর্মাম্বলীদের অন্যতম উত্সব দোল পূর্ণিমা। এই দিন রঙের উত্সবে মেতে উঠেন সবাই। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীনৗদের সঙ্গে রং খেলায় মেতে উঠেছিলেন। সেই থেকেই হিন্দু ধর্মে আবির খেলায় মেতে উঠার রীতি চালু হয়।

দোলের দিন রং খেলা নিয়েই থাকে মূল আয়োজন। সঙ্গে হয় পূজা অর্চনা। পূজায় থাকে নানা আয়োজন। এই দিনে রাধা কৃষ্ণের মঠ এবং ফুট কড়াই দিয়ে পুজো করার রীতি বহু দিন ধরে চলে আসছে। কিন্তু এই মঠ কী, তা জানেন?

প্রাচীন কাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের হিন্দুরা মঠ প্রসাদ হিসাবে ব্যবহার করেন। মঠ হচ্ছে বাংলার অত্যন্ত জনপ্রিয় মিষ্টি খাবার। উঁচু স্তম্ভের মতো ৫-৬ সেন্টিমিটার উচ্চতার  হয় এই মিষ্টি। যা তৈরি হয় চিনি দিয়ে।

বাঙালি হিন্দুরা পুজোর প্রসাদ হিসাবে মূলত মঠ ব্যবহার করে থাকে। দোল উৎসবে এটি বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও রথ, বিজয়া দশমী ও লক্ষ্মীপুজতেও মঠ ব্যবহার হয়। মহেন্দ্রনাথ দত্তের কলকাতার দোল সম্বন্ধীয় লেখায় দোলের দিন মঠ ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে।

মিষ্টি এই খাবারটি কীভাবে বানানো হয় জানেন? খুবই সহজ ও সাধারণ ভাবে মঠ তৈরি করা হয়। পানি দিয়ে চিনি জ্বাল করা হয়। এরমধ্যে অভিষ্ট রং মিশিয়ে ছাঁচে ফেলে তৈরি করা হয় মঠ। ৫ সেন্টিমিটার থেকে ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয় এক একেকটি মঠ।

দোলের বেশ কয়েকদিন আগে থেকে বিভিন্ন বাতাসি তৈরির কারখানায় গাঢ় চিনির রস ছাঁচে ফেলে কারিগররা মঠ বানান। রকমারি মন্দিরের চুড়ার আকারে তৈরি হয় এই মিষ্টি।

দোল পূর্ণিমায় বিভিন্ন মেলাতে ঘুরলেও চোখে পড়বে গোলাপি, হলুদ, সাদা রঙের মঠের পসরা  সাজানো দোকান। একটা সময় ছিল, দোলের পর মিষ্টিমুখ মানেই ছিল মঠ ফুট কড়াই আর সঙ্গে মুড়কি। আজও কিছু কিছু জায়গায় এর চল রয়েছে। চুটিয়ে রং খেলার ফাঁকে ফাঁকে মঠ আর ফুট কড়াই খাওয়া হয়।

দোলের দিনের পুজোতে মঠের উপস্থিতি আবশ্যিক কারণ। এটি পারিবারিক রীতি মনে করা হয়। পূজার সময় দেবতার পাতে গোলাপি হলুদ সাদা এই তিন রঙের মঠ রাখা হয়। তাই দোলের সময় মিষ্টি মঠ ফুল, পাখি, মন্দিরের চুড়াসহ বিভিন্ন আকারের বৈচিত্র দিয়ে তৈরি করা হয়। বিচিত্র রঙিন মঠ পাওয়া যাবে শুধু দোল পূর্ণিমাতেই।

Link copied!