• ঢাকা
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিশ্বজুড়ে যেসব রীতিতে পালিত হয় ক্রিসমাস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
বিশ্বজুড়ে যেসব রীতিতে পালিত হয় ক্রিসমাস
সূত্র: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে ক্রিসমাসে উত্সব। দেশের শহরগুলো সজ্জিত হয়েছে নানা সাজে।  আলোকসজ্জায় রঙিন হয়ে উঠেছে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশেও এই উত্সব আমেজ থেমে নেই। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে ক্রিসমাস উদযাপনে সেজে উঠেছে বিভিন্ন গীর্জা। বেশ আড়ম্বর আর জাঁকজমকের সঙ্গেই পালিত হবে ক্রিসমাস বা বড়দিনের উত্সব।

ক্রিসমাস খ্রিষ্টান ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় উত্সব। অন্যান্য ধর্মীয় উত্সবের মতো ক্রিসমাস উদযাপনের নানা নিয়ম রয়েছে। পুরো বিশ্বই প্রচলিত বিভিন্ন নিয়ম পালন করে থাকে। চলুন জেনে নেই, ক্রিসমাসকে ঘিরে কোথায় কী ঐতিহ্য রয়েছে।

জার্মানির ঝুলন্ত ক্যালেন্ডার

উনিশ শতক থেকেই ক্রিসমাসের ৪ সপ্তাহ অর্থাৎ এক মাস আগ থেকে কাউন্ট ডাউন শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া এখনও বেশ প্রসিদ্ধ। উনিশ শতকের পর গেরহার্ড ল্যাং এই প্রথাকে আরও বেশি করে বাণিজ্যিকীকরণ করে তোলেন। ক্যালেন্ডারে চকোলেট যোগ করা, বড় বড় বহুতল থেকে দৈত্যাকার ক্যালেন্ডার ঝুলিয়ে দেওয়াসহ আরও কিছু রীতি যোগ হয়েছে এই প্রথায়।

ডেনমার্কে ক্রিসমাস ট্রির চারপাশে নাচ

ডেনমার্কে ক্রিসমাস ট্রির চারপাশে নাচ করে সবাই মিলে। এটি ভারী মজার প্রথা। পরিবার বা বন্ধু বান্ধবরা সবাই একসঙ্গে এই নাচে অংশ নেন। ক্রিসমাসে পাওয়া উপহার খোলার আগেই নাচে মেতে উঠেন সবাই।

ফিনল্যান্ডে কবরস্থান পরিদর্শন

ক্রিসমাসের আগে ফিনল্যান্ডে কবরস্থানে যাওয়ার রীতি রয়েছে ফিনল্যান্ডে। কবরস্থানে গিয়ে পরিবারের পূর্ব পুরুষদের সম্মান জানিয়ে মোমবাতি জ্বালানো হয়। ওই দিন দুপুরে পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে ক্রিসমাস সনা পালন করেন। এটি এক বিশেষ ঐতিহ্য। এতে শরীর, মন পরিশুদ্ধ হয় বলে তাদের বিশ্বাস।

কলম্বিয়ার নোচে দে লাস ভেলিটাস প্রথা

প্রতিবছর ক্রিসমাসের আগেই ৭ ডিসেম্বর কলম্বিয়ায় যিশুর মা মেরি এবং ফিস্ট অফ দ্য ইম্যাকুলেট  কনসেপশনকে সম্মান জানানোর রীতি রয়েছে। এই দিন কলম্বিয়ার জনগণ সাদা থেকে নানা রং বেরঙের মোমবাতি জ্বালিয়ে দিয়ে রাস্তা-বাড়িঘর আলোকিত করা হয়। এই প্রথা নোচে দে লাস ভেলিটাস বা নাইট অব দ্য লিটিল ক্যান্ডেলস নামে পরিচিত। এই প্রথার মাধ্যমে কলম্বিয়ায় শুরু হয় ছুটির মৌসুম। ক্রিসমাস পর্যন্ত থাকে এই ছুটি।

গুয়াতেমালার লা কুয়েমা দেল ডায়াবলো

লা কুয়েমা দেল ডায়াবলো’র মানে হচ্ছে ‍‍`বার্নিং অফ দ্য ডেভিল‍‍`। গুয়াতেমালার স্থানীয়দের বিশ্বাস, ৭  ডিসেম্বর শুভক্ষণে শয়তানের কুশ পুতুল পোড়ানো ভালো। এটি তাদের ঘর বাড়ি এবং জীবন শুদ্ধ করে দেয়। ইতিবাচক শক্তির প্রভাব থাকে জীবনে।

Link copied!