• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিশুর কোন আচরণ স্বাভাবিক নয়, এখনই সামলে নিন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
শিশুর কোন আচরণ স্বাভাবিক নয়, এখনই সামলে নিন
ছবি: সংগৃহীত

শিশুরা চঞ্চল হবেই। দুষ্টুমি করবেই। কিন্তু সব চঞ্চলতা স্বাভাবিক আচরণ নয়। বয়স অনুযায়ী শিশুর আচরণে পরিবর্তন আসে। নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত কিছু শিশু চঞ্চল থাকে। এরপর কেউ কেউ আচরণে সংযত হয়ে যায়। কোনো বাচ্চার মধ্যে আবার চঞ্চলতা থেকেই যায়। যেসব বাচ্চা একটু বেশিই চঞ্চল তাদের আচরণের দিকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হয় অভিভাবকদের। কারণ চঞ্চল শিশুদের মধ্যে কেউ কেউ আক্রমণাত্মক আচরণ করে থাকে। আবার বেশি জেদ করতে পারে। কিন্তু হঠাৎ খুব চুপচাপ হয়ে গেলে কিংবা কারও সঙ্গে মিশতে না চাইলেও এটি অস্বাভাবিক আচরণ হতে পারে। তাই অভিভাবককে সব দিকেই সতর্ক থাকতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, “ছোট থেকে শিশুর অস্বাভাবিক আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এমন আচরণ এড়িয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে তা ভয়ঙ্কর হতে পারে। এমনকি অপরাধমূলক কাজও শুরু করতে পারে। তাই কোনো অস্বাভাবিক আচরণকে এড়িয়ে যাওয়া চলবে না।”

ছোটবেলা থেকে শিশুদের যেসব আচরণ স্বাভাবিক নয় কিংবা যেসব আচরণ এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয় চলুন তা জেনে আসি এই আয়োজনে।

·        অনেক শিশু জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে, ভাঙচুর করে। আবার কাউকে আঁচড়ে, কামড়ে দেয়, মারধর করে, থুতু দেয়। এমন আচরণ মোটেও স্বাভাবিক নয়। এগুলো শিশুর আক্রমণাত্মক আচরণ। বড়দের গায়ে হাত তোলা, সমবয়সিদের সঙ্গে মারপিট করা, স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ও বাড়িতে বড়দের অসম্মান করা একদমই ঠিক আচরণ নয়। এসব আচরণ থাকলে শিশুকে শাসন করতে হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শে শিশুকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে।

·        সন্তান যদি বাড়ির পোষ্যকে আঘাত করে, তাদের কষ্ট দেখে আনন্দ পায়, তাহলেও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এটিও স্বাভাবিক আচরণ নয়। শিশুরা সাধারণত পশুপাখি দেখলে খুশি হবে। তাদের আদর করবে এবং তাদের সঙ্গে খেলবে। কিন্তু এমন আচরণ যদি উল্টো হয় তবে তা অস্বাভাবিকই বটে। এক্ষেত্রে শিশুকে বোঝাতে হবে। তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

·        শিশু যদি মনোযোগ আকর্ষণের জন্য মিথ্যা বলে কিংবা কল্পনার আশ্রয় নিয়ে, বা বকুনির ভয়ে মিথ্যা বলে তবে তাকে এখনই সামলে নিন। ছোটখাটো মিথ্যা বিশেষ গুরুত্ব না দিলে পরবর্তী সময়ে তা অভ্যাস হয়ে যাবে। শিশু বয়সে ছোট ছোট মিথ্যাকে প্রশ্রয় দিলে তা পরবর্তী সময়ের জন্য ভয়াবহ হবে। কোনও বড় ভুল করেও গোপন করার চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে স্কুলে কোন বন্ধুর সঙ্গে মিশছে, শিশুর চারপাশের বন্ধুরা কেমন তা খেয়াল রাখুন। হয়তো অন্যদের দেখে মিথ্যা বলাও শিখতে পারে। তাই এই বিষয়ে যত্নবান হোন। শিশু অবহেলিত হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন।

·        শিশুটি কি অন্যের জিনিসপত্র লুকিয়ে নিয়ে নিচ্ছে? স্কুলে বন্ধুটির জিনিসপত্র ব্যাগে ভরে নিয়ে নিচ্ছে? এমন অভ্যাসে সতর্ক হোন। এমন অনেক শিশু রয়েছে যারা নিজের  বাড়ির ছোটখাটো জিনিসও চুরি করার চেষ্টা করে। টাকাপয়সা সরিয়ে নেওয়া, মা বা বাবার ব্যাগ থেকে কিছু সরিয়ে নেওয়া, মোবাইল ফোন লুকিয়ে নিয়ে গেম খেলা এমন সব ঘটনা মোটেও স্বাভাবিক নয়। এমন আচরণ চোখে পড়লেই শিশুকে বোঝাতে হবে। ভালো খারাপের পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিতে হবে।

·        অনেক শিশুর বিদ্রোহ করার মানসিকতা থাকে। যেকোনো কথা বা কাজকেই না করে দিতে পারে। বড়দের অসম্মান করতে পারে। এমন আচরণও স্বাভাবিক নয়। বাড়ির সদস্যরা কিংবা গৃহ পরিচারিককদের সম্মান না করে আঘাত করলে কিংবা বেয়াদবী করলে তা স্বাভাবিক আচরণ হবে না। এক্ষেত্রেও অভিভাবককে শিশুর প্রতি যত্নশীল হতে হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে হলেও শিশুকে এমন আচরণ থেকে বের করে আনতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, শিশুকে কঠোরভাবে শাসন করা বা গায়ে হাত তোলা যাবে না। এতে হিতে বিপরীত হবে।

Link copied!