দিনের অধিকাংশ সময়ই অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। একটানা চেয়ারে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে। একসময় দেখা যায় পিঠের ব্যথায় আর নড়াচড়া করা যাচ্ছে না। দিনের পর দিন এমন অভ্যাস পিঠ বা মেরুদণ্ডের মারাত্মক ক্ষতি করছে। বিশেষজ্ঞরা একটানা চেয়ারে বসে থাকা প্রতি সতর্কতা করেছেন। আর পিঠ বা মেরুদণ্ডের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত হালকা শরীরচর্চা করারও পরামর্শ দেন। কিন্তু যারা কাজের ব্যস্ততায় শরীরচর্চা করারও সময় পান না তাদের উপায় কী!
বিশেষজ্ঞরা জানান, একটানা চেয়ারে বসে কাজ করলে পিঠের পেশি, লিগামেন্টের সঙ্গে শিড়দাঁড়ায়ও সমস্যা হতে পারে। তাই অল্প বয়সেই আর্থ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই শরীরচর্চা ছাড়াও এই সমস্যা সমাধানের উপায় জানতে হবে। মাত্র ৫ উপায়ে পিঠের এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনিও।
· অফিসে চেয়ারে বসে একটানা কাজ করছেন। কিন্তু কাজের বাইরে অন্যান্য কাজগুলো চেয়ারে বসে করবেন না। যেমন অনেকের অভ্যাস নিজের চেয়ারে বসেই টিফিন খাওয়া। কিংবা পানির বোতল সঙ্গে থাকে বলে উঠে গিয়ে অন্য কোথাও যেতেও হয় না। এই অভ্যাসের কারণে চেয়ার থেকে উঠাই হয় না। তাই কাজের বাইরে অন্য কাজগুলো চেয়ার থেকে উঠে গিয়েই করুন। এতে হাঁটাচলা হবে। একটানা বসেও থাকতে হবে না।
· অফিস কিংবা বাড়ি থেকে ফোন এলে নিজের ডেস্কে বসেই কথা সেরে নিচ্ছেন অনেকে। এই অভ্যাস বদলে ফেলুন। যখনই ফোন আসবে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলুন। এক্ষেত্রে ৫ মিনিটও যদি আপনি মোবাইল ফোনে কথা বলেন ওই সময়টুকুই আপনার হাঁটা হয়ে যাচ্ছে।
· অফিসে প্রবেশ কিংবা বের হওয়ার সময় লিফ্ট ব্যবহার করেন? এটা না করে বরং সিঁড়ি দিয়েই উঠুন বা নামুন। সিঁড়ি ওঠানামা কিন্তু এক ধরণের শরীরচর্চাও বটে। তাই এই অভ্যাসে দিনে হালকা ব্যায়ামও হয়ে যাবে। পিঠেও আরাম পাবেন।
· অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজের মাধ্যমে কথা বলছেন এই অভ্যাসও বদলে ফেলুন। বরং সহকর্মীর ডেস্কে গিয়েই আলাপ করুন। এতে চেয়ারে একটানা বসে কাজ থেকেও রেহাই পাবেন।
· অফিস শেষে বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে সবার। অফিস শেষেই তড়িঘড়ি করে বাসে উঠে গেলেন কিংবা রিক্সা বা কোনো যানবাহনে চড়ে বসলেন। এটা করবেন না। বরং অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে কিছুটা হেঁটে যেতে পারেন। অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে হেঁটে রওনা করতে পারেন। এতে সময়টাও ভালো কাটবে। আবার হাঁটাও হয়ে যাবে। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটার জন্য সময়ও বের করতে হবে না। শরীরও সুস্থ থাকবে।