ঘরসজ্জায় এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিলিংসজ্জা। ঘরকে নতুন রূপ দিতে কিংবা আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে সিলিংসজ্জা অন্যতম অংশ। ঘরের দেওয়ালের রং, জানলা পর্দা যেমন লুক বদলে দেয়, সিলিংসজ্জাও ঠিক তেমনই। বিশেষ করে ফল্স সিলিং করে আলোকসজ্জা করলেও ঘরের মাধুর্যই বদলে যায়।
বর্তমান সময়ে ঘরসজ্জায় শৌখিনতা যোগ হয়েছে। সিলিংসজ্জা, আলোকসজ্জা, দেয়াল সজ্জা সবমিলিয়ে ঘরকে প্রাণবন্ত করে তোলা হয়। বিশেষ করে ফল্স সিলিং করে ঘরের অন্দরসজ্জার রূপটাই বদলে যায়। ঘরের ভিতরের ছাদের নকশা করা ধারণা অনেক পুরোনো। তবে এই ধারণায় নতুনত্ব যোগ হয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই এসেছে ফল্স সিলিং।
ঘরের ছাদে ফল্স সিলিং তৈরির অন্যতম কারণ হচ্ছে আলোকসজ্জা। অর্থাত্ ঘরের কোণ থেকে কী ভাবে কতটা আলো ফেললে, ঘর সুন্দর দেখাবে, সেই কারণেই ফল্স সিলিংয় গুরুত্বপূর্ণ। তবে ঘরের সৌন্দর্য নির্ভর করবে মানানসই ফল্স সিলিংয়ের উপর। ঘরের ছাদের নীচে বিম ঢেকে ফল্স সিলিং হয়। দুই দফা ছাদ তৈরি হয়। এতে গরমের দিনে ঘরে স্বস্তি বজায় থাকে।
সিলিং কেমন হতে হবে
ফ্ল্যাট হোক বা বাড়ি সিলিং হতে হবে মানানসই। সর্বোচ্চ তল হলে এক রকম সিলিং হবে। আর নীচের তলায় ঘর হলে সিলিং হবে অন্য রকম। সর্বোচ্চ তলায় ছাদ থেকে ফল্স সিলিং দেওয়া যাবে না। এতে ঘর গরম হয়ে যাবে। বিম থেকে ফল্স সিলিং বসিয়ে উপরের ছাদটি ঢেকে দিতে হবে। নীচের তলায় ফল্স সিলিং করতে হলে উপরের ছাদ পুরোপুরি না ঢাকলেও চলবে। এক্ষেত্রে সাইড সিলিং বা ট্রে সিলিং দিলে ভালো লাগবে। ঘরের উচ্চতা ও মাপ অনুযায়ী বক্স সিলিংও করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন, এতে যেন ঘর ছোট না দেখায়।
বসার ঘর, শোয়ার ঘর, খাবারের ঘর ছাড়াও রান্নাঘরেও অনেকে ফল্স সিলিং করেন। ঘরের নকশা অনুযায়ী ফল্স সিলিং বেছে নিন। ট্রে সিলিং হলো ট্রে-র মতো দেখাবে। এই পদ্ধতিতে ঘরের মূল ছাদ পুরোপুরি না ঢেকে বিমের অংশটি আড়াল করে ট্রের মতো সিলিং করা হয়। সেটি যে আয়তাকার হতেই হবে, তা নয়। এটি জ্যামিতিক আকৃতিও দেখা যায়।
বক্স সিলিং হলো বক্সের মতোই। ছাদ জুড়ে বা ট্রের মতো ছাড়াও ফল্স সিলিং হয়। এটি কিছুটা বক্সের মতো। ঘরে পাখার চারপাশে বিটের মতো বক্স দেওয়া থাকে। সেখানে ঘরের জন্য আলোকসজ্জা করা হয়।
গ্রিড যুক্ত ‘কফার্ড সিলিং’ও করতে পারেন। মূল ছাদ পুরোপুরি না ঢেকে, শুধুমাত্র আলো লাগানোর জন্য বক্স সিলিং করা যায়। ফল্স সিলিং করতে জিপসাম বোর্ডই এখন বেশি জনপ্রিয়।