কথা হলো যোগাযোগের মাধ্যম। নিজের যত আবেগ, ভালোবাসা, মনে লুকানো জিনিস সবই মানুষ কথার মাধ্যমে অন্যকে জানায়। কথা না বলা থাকা অনেকের কাছেই বেশ কষ্টকর। কষ্টকর হলেও কখনও কখনও কথা না বলাই ভালো। যেমন-
কেউ আবেগ প্রকাশ করলে: কেউ যখন নিজের মনের আবেগ আপনার কাছে প্রকাশ করতে আসে তখন তার কথার ফাঁকে আপনার কথা না বলাই ভালো। মানুষ যখন আবেগের মধ্যে থাকে তখন তাকে পরামর্শ দেওয়া বৃথা। কারও কারও তখন যেকোন কথাও খারাপ লাগে। তাই সেসময় কথা বলা উচিত নয়। চুপ থেকে তার কথা শোনা ভালো।
কেউ রেগে গেলে: রেগে গিয়ে খারাপ ভাষায় আক্রমণ করা অনেকেরই অভ্যাস। এটা নিচু মানসিকতার পরিচয়। আপনি যখন সেই খারাপ ভাষার বিপরীতে কথা বলতে যাবেন তখন পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে পারে। এমনকি তার ভাষায় আক্রমনে আপনিও রেগে এমন কথা বলে দিলেন যেটাতে আপনারই ক্ষতি হয়ে যায়। তাই রেগে গিয়ে চুপ থাকাই ভালো।
বড় কোন বিবাদের সময়: মানুষ যখন উত্তেজিত অবস্থায় থাকে তখন তার স্বাভাবিক চিন্তাশক্তি লোপ পায়। আর তখন মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। তখন হয়ত এমন কিছু কথা আপনার বিপরীতের মানুষটাকে বলে ফেললেন এতে সে বড় আঘাত পাবে। তাই যে কোন ঝামেলা বড় হয়ে গেলে তখন চুপ থাকাই শ্রেয়।
যদি আপনি কোনো জিনিস নিশ্চিতভাবে না জানেন: নিশ্চিত ভাবে কোন জিনিস না জেনে সেটা নিয়ে কোন রকম মন্তব্য না করাই ভালো। বিশেষ করে অন্য কারও ব্যাপারে না জেনে শুনে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা শ্রেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে কেউ যদি কোন বিষয়ে পরামর্শ নিতে আসে তখন অনেকেই আছেন না জেনেই নিজের মতো করে পরামর্শ দিয়ে দেন। এটা করা থেকে বিরত থোকা ভালো। তখন চুপ থাকাই শ্রেয়।