সন্তান জন্ম নেওয়ার সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম। তবে সপ্তম দিনে আকিকা করতে না পারলে পরে যেকোনো সময় তা আদায় করা যাবে। সন্তানের বাবা বা তার অনুপস্থিতিতে অন্য যে থাকেন, তিনিই আকিকা করাবেন। নানাবাড়িতে আকিকার পশু দিতে হয়, এই ধারণা ইসলাম সমর্থন করে না। আর নানাবাড়ি থেকে সামাজিকভাবে চাপ দিয়ে বা জোর করে এ রকম পশু বা অন্য কোনো কিছু নেওয়া ইসলামে বৈধ নয়।
ছেলেসন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল আকিকা করা সুন্নত। তবে ছেলের জন্য একটি আদায় করলেও আকিকার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। যেসব পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ যেমন গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, উট, দুম্বা এগুলো দিয়ে আকিকা করাও বৈধ।
এখন প্রশ্ন হলো, কেউ যদি কোরবানির সঙ্গে আকিকা করতে চায় এবং গরু, মহিষ বা উটের ৭ ভাগে আকিকার জন্য ভাগ নেয়, তা হলে সেটা কি জায়েজ হবে? অন্য শরিকদের কোরবানি কি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে?
বিভিন্ন মাজহাবের আলেমরা কোরবানির সঙ্গে আকিকা করা জায়েজ নেই বলেছেন। তবে হানাফি মাজহাব ও ইমাম আহমদের একটি মত অনুযায়ী কোরবানির সঙ্গে আকিকা করা বৈধ। এই ফতোয়াই আমাদের দেশে প্রচলিত।
এক পশুতে তিন শরিক কোরবানি হলে সেখানে আরও দুই-এক শরিক আকিকার জন্য দেওয়া যেতে পারে। তেমনিভাবে কোরবানির মতো একই পশুতে একাধিক ব্যক্তি শরিক হয়ে আকিকা আদায় করতে পারবেন। (দুররুল হুক্কাম: ১/২৬৬; রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬; হাশিয়াতুত তহতাভি আলাদ্দুর: ৪/১১৬)
আকিকা: গরু, মহিষ বা উটে অংশ হিসেবে যেভাবে কোরবানি দেওয়া যায়; সেভাবে একটিকে সাতটি ধরে অংশ হারে আকিকাও করা যায়। কোরবানি ও আকিকা একসঙ্গে করতে কোনো বাধা নেই।