• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বোতাম কোন দেশের আবিষ্কার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম
বোতাম কোন দেশের আবিষ্কার
সূত্র: সংগৃহীত

মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার বোতাম। যেকোনো পোশাকেরই গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি। জামা কিংবা প্যান্টের মাপ ঠিক রাখতেই বোতামের ব্যবহার হয়। বিভিন্ন মাপের বিভিন্ন ডিজাইনের বোতাম পাওয়া যায়। আবার নারীদের পোশাকে আর পুরুষের পোশাকের বোতামের ভিন্নতা থাকে। ফ্যাশন আর ট্রেন্ড অনুযায়ী পোশাকে বোতামের ব্যবহার হয়। বহুল ব্যবহৃত এই বোতামের ব্যবহার কীভাবে শুরু হলো, জানেন কি? কোন দেশে এর আবিষ্কার হয়, এই তথ্য অনেকেরই অজানা।

পোশাকে বহুল ব্যবহৃত এই বোতাম সিন্ধু সভ্যতার দান। মহেঞ্জোদারো-হরাপ্পার বাসিন্দারা প্রথম এর ব্যবহার শুরু করেন। এর আগে বোতামের ব্যবহারের কোনো ইতিহাস পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, সিন্ধু সভ্যতাতেই বোতামের ব্যবহার প্রথম শুরু হয়। সেই সময় বোতাম তৈরি হতো সমুদ্রের শামুক, ঝিনুকের খোল থেকে। শামুক, ঝিনুকের খোলে ফুটো করে তাতে ঘর করে বোতাম বানানো হতো। যুগের বদলের সঙ্গে সঙ্গে এর ডিজাইন আর উপাদানের বদল হয়েছে। বর্তমান সমযে প্লাস্টিক, কাঁচ, মায় কাঠ দিয়েও বোতাম তৈরি হয়।

আবিষ্কারের হাজার হাজার বছর পরেও বোতাম গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। ফ্যাশন দুনিয়ায় বিস্তৃত রয়েছে এর কদর। সিন্ধু সভ্যতার এই দান মানুষ আরও যুগের পর যুগ বয়ে নিয়ে যাবে।

শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন পোশাকের সংযোগ স্থাপন বা কোনো অংশ ঢেকে রাখার জন্যই এটি ব্যবহার হয় না। সৌন্দর্যবর্ধনের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার হয়। ব্যাগ, ওয়ালেট, ছবির ফ্রেম, গয়না, ল্যাম্পশেড এমনকি জুতাতেও বোতামের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও অলঙ্কার হিসেবে বোতাম ব্যবহার হয়। ছোট, বড়, গোল, ত্রিকোনা বা চৌকোনা—নানা আকার ও ধরনের বোতাম রয়েছে। কাপড়, প্রাণীর শিং, দাঁত, হাড়, শামুক-ঝিনুকের খোলস, নারকেলের শক্ত খোসা থেকে শুরু করে কাঠ, রাবারসহ নানা উপকরণ দিয়ে বোতাম তৈরি হয়। অভিজাত ও শৌখিন মানুষ তো সোনাসহ আরও দামি পদার্থ দিয়েও বোতাম তৈরি করে নেন। যা নিজের ব্যবহার কিংবা প্রিয়জনকে উপহার দিতে ব্যবহার করেন।

Link copied!