রাত পোহালেই লক্ষ্মীপুজো। আর পূজা উপলক্ষে বাড়ি বাড়ি সেজে উঠে নতুন সাজে। এরই মধ্যে তোড়জোর শুরু হয়েছে গেছে। নানান রকম মিষ্টি বানানো থেকে শুরু করে নাড়ু সবই লক্ষ্মী পূজার আয়োজন। আবার এই পূজা যেহেতু বাড়ির মধ্যেই হয় তাই গৃহসজ্জ্বার দিকেও খানিক নজর দিতে হয়। বাড়িতে অতিথি আসলে কোথায় বসবে, প্রতিমাকে কোথায় স্থান দেওয়া হবে এ সবই আগে থেকেই গুছিয়ে রাখতে হবে। সাজাতে হবে বাহারি সাজে। ঘরে আলপনা দেওয়া থেকে শুরু করে ঘরকে সাজিয়ে তুলুন নতুন সাজে। তাতেই না ঘরে আসবে নতনত্ব।
- পূজার আয়োজনে আলপনা থাকবেন না তা হয় না। তাই ঘরের সামনে ওঠোনে আলপনা দিন। ওঠোন না থাকলে বাড়িরর ড্রইংরোমেও সাদা লালের আলপনা আকঁতে পারেন। ঘরে প্রবেশ পথ মূল দরজার সামনেও খালি জায়গাল আলপনায় সাজিয়ে তুলতে পারেন।
- দেবীর মূর্তি যেখানে বসাবেন সে জায়গাটি ভালো ভাবে সাজাতে পারেন। ঠাকুরকে যদি জলচৌকির উপর বসানোর কথা ভাবেন তবে জলচৌকির উপর নকশা করতে পারেন। এতে দেখতেও ভালো লাগবে।
- পূজার সময় যতটা সম্ভব ঘরকে আলোকিত রাখার চেষ্টা করুন। তবে সেক্ষেত্রে সচরাচর আমরা যেসব বাতি জ্বালায় সেগুলো দিয়ে না ঘরে ছোট ছোট কোনাগুলোকে মরিচ বাতি দিয়ে সাজাতে পারেন। বারান্দার গ্রিলেও মরিচ বাতি লাগালে রাতে বেশ সুন্দর হয়ে উঠবে পরিবেশ। বাজারে নানান রকম মোমবাতি পাওয়া যায়। সেগুলো দিয়েও ঘর সাজাতে পারেন। তাছাড়া বাহারি লাইটও ব্যবহার করতে পারেন।
- পূজায় ফুল ছাড়া ভাবা যায় নাকি! নিজেকে সাজানো থেকে শুরু করে লক্ষ্মীপূজায় ঘর সাজান নানা রকম ফুল দিয়ে। ফুলের মালা গেঁথে টাঙিয়ে দিতে পারেন দেওয়ালে। ফুলের পাপড়ি দিয়েও তৈরি করতে পারেন রঙ্গোলি। মূল দরজার বাইরে লাগিয়ে ফেলুন আসল গাঁদার মালা। ঘরের সাইড টেবিলে একটা বাটিতে কিছু শিউলি ফুল রাখতে পারেন।
- পুজো-পার্বনের দিনে বাড়িময় ধূপের গন্ধ, ধুনোর গন্ধ বেশ ভাল লাগে। তাই ঘর সাজানোর পাশাপাশি পূজার সময় ব্যবহার করার জন্য ধূপ কিনে রাখেন এবং সেগুলো কোথায় রাখবেন সেই জায়গা ঠিক করুন।