মিষ্টি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। ছোট থেকে বড় সবারই মিষ্টি খুব পছন্দ। ভোজনরসিকদের কাছে রকমারি মিষ্টি হলে তো কথাই নেই। এক বসাতেই পেট ভরে শুধু মিষ্টিই খেয়ে নেবেন। তাইতো এমন কোনো রেস্তোরা বা দোকানের সন্ধানে থাকেন, যেখানে রকমারি আর সুস্বাদু মিষ্টি পাওয়া যায়। এমন ভোজনরসিকদের জন্য সেরা স্থান হতে পারে পূর্বাচলের তিনশ ফিটের নীলা মার্কেট।
ইতোমধ্যে অনেক ভোজনরসিকরাই এই স্থানটিতে ঘুরে এসেছেন। এমনকি বারবার যাচ্ছেন। ইট পাথরের অট্টালিকার শহরে খোলামেলা জায়গায় একটু প্রশান্তির নিশ্বাস নিতে নীলা মার্কেটে ছুটে যান অনেকেই। কারণ এখানে খোলা স্থানে মন ভালো হয়ে যাবে।পাশাপাশি রকমারি মিষ্টির ভোজনও করা যাবে। তুলতুলে, গরম গরম মিষ্টি চোখের সামনেই বানিয়ে দিচ্ছে ক্রেতাদের। যা দেখে জিভে পানি তো আসবেই। ঝালপ্রেমীদের জন্য় রয়েছে হাঁসের মাংসসহ নানা পদ। তবে মিষ্টির জন্য় অতুলনীয় এই স্থানটি। দীর্ঘদিন ধরেই নীলা মার্কেটের এই মিষ্টি পদগুলো জনপ্রিয়তায় রয়েছে।
নীলা মার্কেট যাওয়ার জন্য প্রথমে কুড়িল বিশ্বরোডে পৌছাতে হবে। সেখান থেকে সিএনজি, অটোরিকশা অথবা বিআরটিসি বাসে করে সহজেই নীলা মার্কেট যাওয়া যাবে। গন্তব্যে পৌছাতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট।
নীলা মার্কেটে পৌছাতেই মিষ্টির সুগন্ধ পাওয়া যাবে। ছোট ছোট ছাউনি দেওয়া দোকান রয়েছে সেখানে। কিছুদূর পরপরই মিষ্টির দোকান। চমচম, রসগোল্লা, বালিশ মিষ্টি, মালাইচপ, সন্দেশ, লেংচা, রাজভোগসহ নানা স্বাদের মিষ্টির দেখা মিলবে সেখানে।
এই মার্কেটের প্রতিটি দোকানের সঙ্গে রসুইঘর রয়েছে। যেখানে সারাক্ষণই মিষ্টি বানাতে থাকেন কারিগররা। ক্রেতার চোখের সামনেই গরম গরম মিষ্টি এনে বড় গামলায় ঢেলে দিচ্ছেন। যা দেখে লোভ কি আর সামলানো যায়! ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন গরম মিষ্টির স্বাদ নিতে।
পূর্বাচল মিষ্টান্ন ভান্ডারে পাওয়া যায় মালাইচপ। মিষ্টির কারিগর সুকুমার বাবু ৪৫ বছর ধরে মিষ্টি বানাচ্ছেন। এখানকার মালাইচপ যেমন সুস্বাদু তেমনই টাটকা। এছাড়াও পাওয়া যায় বিশালাকার বালিশ মিষ্টি। যার ওজন হয় এক থেকে দেড় কেজির মতো। এই মিষ্টি কেজিপ্রতি পড়বে ২৫০ টাকা।
নীলা মার্কেটের মিষ্টির দোকানগুলোতে সুস্বাদু রসমালাই, মালাইচপ, ছানার মিষ্টি, স্পঞ্জ মিষ্টি প্রতি পিস করে কেনা যাবে। আবার কেজি দরেও কেনা যাবে। যার দাম পড়বে প্রতি কেজি ৪০০ টাকা। এছাড়াও কাঁচা রসগোল্লা কেজিতে ৩০০ টাকা পড়বে। চমচম, বেবি সুইট, লেংচা প্রতি কেজি কেনা যাবে ২৮০ টাকায়। একটু কমের মধ্যে পেয়ে যাবে গরম গরম রসগোল্লা ও কালোজাম। এগুলোর প্রতিকেজি পাওয়া যাবে ২৫০ টাকায়।