দক্ষিণ মেরুবলয়ের আশেপাশে যেসব প্রাণী ঘুরে বেড়ায় তার মধ্যে সবচেয়ে বিস্ময়কর নাম পেঙ্গুইন। তাকে কেন বিস্ময়কর বলা হচ্ছে জানেন? কারণ তার এমন সব ক্ষমতা আছে যা আপনাকে অবাক করে দিবে। এই বিস্ময়কর প্রাণীটি পাখি শ্রেণিভুক্ত হলেও উড়তে পারে না। এমনকি দীর্ঘসময় ধরে নিশ্বাস বন্ধ রাখতে পারে।
পেঙ্গুইন উড়তে না পারলেও সমুদ্রে সাঁতার কাটতে পারে। আর বিস্ময়কর বিষয় হলো এটি ৫৫০ মিটার গভীর পর্যন্ত সাঁতরে যেতে পারে। এতো গভীরে যাওয়ার কারণ হলো যত গভীরে যাওয়া যায় তত মাছ শিকার করা যায়। এরা সমুদ্রে সাঁতরে তাড়া করে মাছ ধরে এবং খায়। কিন্তু পেঙ্গুইন খুব দ্রুত হাঁটতে পারে না। আর দৌড়ানো তো অসম্ভব। কারণ, এই প্রাণীটির পায়ের দৈর্ঘ্য খুব ছোট। তবে উবুড় হয়ে শুয়ে দুই হাতডানা নেড়েচেড়ে বরফের উপর দিয়ে এগিয়ে যায়।
আরেকটি বিস্ময়কর জিনিস হলো পেঙ্গুইন নিশ্বাস বন্ধ রাখতে পারে টানা ২০ মিনিট। তবে যেহেতু এর বসবাস বরফে ঢাকা মেরু অঞ্চলে, তাই তার শরীর উষ্ণ রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের। এ ক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করে তার পালক। পেঙ্গুইনের পালক এতটাই ঘন যে যার পরিমাণ যেকোনো পাখির চেয়ে তিনগুণ বেশি। আর এসব পালকই তাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যদিও পেঙ্গুইন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে।