ইশ, আমার যদি পাখির মতো ডানা থাকতো, আমিও উড়ে বেড়াতাম আকাশ পানে। এমন ইচ্ছে কমবেশি অনেকের মনেই থাকে। পাখিদের ডানা মেলে আকাশে উড়লে দেখলে মনও উড়াল দেয়। দুই পাশে দুই ডানা মেলে উড়ন্ত পাখি যেন মনের প্রশান্তি এনে দেয়। রংবেরঙের পালকে ভাঁজ ফেলে পাখিরা আকাশে ওড়ে। পাখির ডানা মেলে ওড়া দেখেই কিন্তু মানুষের ভাবনা আসে উড্ডয়নের। সেই ভাবনা থেকেই বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা বিমান আকাশে উড়ায়। শুধু তাই নয়, অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীরা ডানা লাগিয়ে প্যারাগ্লাইডিংইয়েও ভেসে বেড়াচ্ছে।
ডানা ছাড়া পাখি যেন চিন্তাই করা যায় না। কিন্তু জানেন কি, পৃথিবীর বুকে এমনও পাখি রয়েছে যার ডানা নেই। বলা যায়, ডানা ছাড়া একমাত্র পাখি এটি। অনেকেই এর সঙ্গে পরিচিত। কারণ এই পাখিটি হচ্ছে প্রিয় পেঙ্গুইন। হ্যা, পৃথিবীর বুকে একমাত্র পাখি পেঙ্গুইন যারা ডানা ভাঁজ করতে অক্ষম। তাদের ডানার হাড়গুলো সোজা থাকে। ডানাটি ফ্লিপারের মতো শক্ত এবং শক্তিশালী। তাই তারা বাতাসে উড়ে আসা অন্যান্য পাখির মতো হালকা নয়।
এদিকে কিউই পাখির ডানা নেই বলে অনেকেই ভূল করেন। ধূসর বাদামী পাখিগুলো ডানা খুবই ছোট। যা পাখির পালকেই লুকিয়ে থাকে। আবার ডানা বা পালক থাকলেও বেশিদূর উড়তে পারে না এমনও পাখি রয়েছে। যার নাম ময়ূর। অসম্ভব সুন্দর হয় এই পাখি। যার একটি স্বতন্ত্র নীল রঙ রয়েছে। ময়ূরের পালক শরীরের আকারের ৬০ শতাংশই ঢেকে রাখে। যা খুবই লম্বা আকারের হয়। লম্বা পালকের কারণেই ময়ূর বেশি দূর উড়ে যেতে পারে না। স্বল্প দূরত্বে উড়তে পারে এই পাখিটি।
এমনও পাখি রয়েছে, যার ডানা আগে কিন্তু তাও উড়তে পাড়ে না। এর মধ্যে রয়েছে কিল পাখি, ক্যাসোওয়ারী, উটপাখি, কাকাপো পাখি এবং রিয়া জাতীয় পাখি। কিল পাখির বুকের হাড়ের একটি অংশ ডানার সঙ্গে সংযুক্ত। যা ওড়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পেশী। আবার কাকাপো পাখিও দেখতে খুবই অদ্ভুত। এই পাখির অনেক ডানা থাকে। তবুও সেগুলো দিয়ে উড়তে পারে না।