বন্ধু তো কতই হয়। কিন্তু ভালো বন্ধু হোন কজন। যাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়। যার উপর ভরসা রাখা যায়। যার প্রতি মন থেকে শ্রদ্ধা আসে। যার সততা মুগ্ধ করে। আর সুখে দুঃখে সবসময় পাশে পাওয়া যায়। যার সঙ্গে অন্যরকম হয় সম্পর্কের সমীকরণ।
৮ জুন শনিবার বেস্ট ফ্রেন্ড ডে বা ঘনিষ্ঠ বন্ধু দিবস। ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস দিনটি চালু করে। সেই থেকে প্রতিবছর দিনটি পালিত হয়। দিনটি উত্সর্গ করা হয়েছে সেরা বন্ধুর জন্যে। মানে সত্যিকার বন্ধু, প্রিয় বন্ধু যাকে বলা যায়।
ছোটবেলা থেকেই বন্ধুত্বের শুরু হয়। স্কুল জীবনে বন্ধুত্ব হয় অনেকের সঙ্গে। ওই সময় বন্ধুত্বের মাঝে থাকে আবেগ বা আনন্দ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুত্বের সমীকরণ বদলায়। বড় হয়ে যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে তাতে থাকে আবেগ আর বিবেকের সমীকরণ। মানে অনেক বন্ধু থেকেই তখন ভালো বন্ধুকে বেছে নেওয়া যায়। আবার সেই ভালো বন্ধুর মধ্য থেকে সেরা বন্ধুকে চিনে নেন। যে হয়ে উঠে জীবনের অন্যতম ঢাল বা ভরসার প্রধান জায়গা।
ইংরেজ সাহিত্যিক স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজ বেস্ট ফ্রেন্ডকে আখ্যায়িত করেছেন শেল্টারিং ট্রি বা আশ্রয়দাতা বৃক্ষ হিসেবে। যখনই কোনো পরিস্থিতিতে অসহায়ত্ব বোধ করবেন তখনই আপনার পাশে দাড়াবে সেরা বন্ধুটি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ১২ জনের মধ্যে শুধু একজনই হয় আজীবনের সেরা বন্ধু।
গবেষকরা সেরা বন্ধুকে প্রেমের সম্পর্কের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাদের মতে, খাঁটি বন্ধুত্বের বিচারে প্রেমের সম্পর্ক খুবই সাধারণ হয়। প্রেমের সম্পর্কেও অনুভূতি থাকে। কিন্তু বন্ধুত্বের সম্পর্কের অনুভূতিটা হয় ভিন্ন। যে কখনোই ছেড়ে যাবে না। যার সঙ্গে বোঝাপড়া হয় স্বচ্ছতম আয়নার মতোই। আর গোপনীয়তার ভান্ডার নিসংকোচে শেয়ার করা যায় সেই বন্ধুর সঙ্গে।
এই দিনটি ঘনিষ্ট সেই বন্ধুটির সঙ্গেই কাটিয়ে দিতে পারেন। দিনটি উপভোগের জন্য় কোনো বিশেষ পরিকল্পনা করতে পারেন। বন্ধুকে বিশেষ উপহার দিতে পারেন। আবার পুরোনো স্মৃতিকে স্মরণ করে বন্ধুকে আবেগপ্রবণ শুভেচ্ছাও পাঠাতে পারেন। বন্ধুর গুরুত্ব আপনার জীবনে কেমন তা জানিয়ে মনের কথাগুলোও প্রকাশ করার সেরা দিনটি হতে পারে উপভোগ করুন।
সূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার