• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দীপাবলীর ফ্যাশনে বাঙালির নতুনত্ব


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
দীপাবলীর ফ্যাশনে বাঙালির নতুনত্ব
সূত্র: সংগৃহীত

দুর্গাপূজার পাশাপাশিই শুরু হয় কালীপূজা। এই পুজোতেও নিজেকে বিশেষ আকর্ষণীয় লাগা চাই। বলা যায়, দীপাবলীর উৎসবেই আরও মনের মতো করে সাজতে হয়। হাতে মেহেদী আর লেহেঙ্গা, ঘাগরা, ঘারারাসহ নানা স্টাইলের পোশাক পরা হয়। ছেলেরাও কম যান না, সাদামাটা ধুতি আর পাঞ্জাবির বাইরে এসে এখন শর্ট কুর্তা, কোটি পাঞ্জাবি, শর্ট শেরোয়ানি পরতেই পছন্দ করেন। তাই দীপাবলীতে ঘর সাজানোর পাশাপাশি নিজেকেও সাজাতে প্রস্তুত বাঙালিরা। তবে সাজ পোশাকে মাধুর্যতা রেখে নিজেকে আকর্ষণীয় করার পরামর্শ দিচ্ছেন ফ্যাশনবিদরা।

আগের দিনগুলো দুর্গাপূজায় নতুন পোশাক কেনা হলেও কালীপূজার পোশাক থাকতো একদমই হালকা কিংবা সাদামাটা। কারণ বাজির আগুনে যাতে জামাকাপড় নষ্ট না হয় তাই সুতির সাদামাটা পোশাকই পরা হতো। বড়রাও কালীপুজোয় নতুন পোশাক বা ভালো পোশাক নিয়ে ভাবতেন না। বাড়িতে কালীপুজো হলে পরা হতো লালপেড়ে তাঁতের শাড়ি, পাজামা-পাঞ্জাবি। আর পুজো না থাকলে সাধারণ পোশাকই ছিল ‘ট্রেন্ড’। ওই সময় দীপাবলীতে মূল আকর্ষণ ছিল শুধু আতশবাজি আর ফাটকা ফোটানো। এখন সময় বদলেছে।  ফ্যাশনপ্রেমিরা এখন শুধু উপলক্ষ পেলেই হলো। আর দীপাবলী তো বাঙালির আনন্দের উৎসব। তাই দীপাবলীর ফ্যাশনের নতুনমাত্রা যোগ করেছে বাঙালিরা।

বাঙালির কাছে দীপাবলী মানেই কালীপূজা। তাই দীপাবলির ফ্যাশনেও বাঙালিয়ানা থাকবেই। সাদা ধুতির সঙ্গে নিপাট বাঙালি বাবু স্টাইলের হালকা নকশার সাদা পাঞ্জাবি পরলে কিন্তু বেশ লাগবে এই উৎসবে। তাছাড়া এই উৎসবে ফ্যাশন থেকেও বেশি জরুরি কী ফ্যাব্রিকের পোশাক পরছেন। কারণ কালীপুজো আলোর উৎসব। এই দিন প্রদীপ জ্বালানো হয়, বাজি পোড়ানো হয়। তাই কোন কাপড়ের পোশাক পরছেন সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সুতি, লিনেন বা যে কোনও অরগ্যানিক কাপড় এক্ষেত্রে আরামদায়ক হয়।

দীপাবলীর আয়োজনে বাঙালি নারীরা শাড়িতেই মেতে উঠতে পারেন। কারণ যে কোনো উৎসবে মেয়েদের জন্য শাড়ির মতো ভালো পোশাক হয় না। মেয়েরা সুতির শাড়ি কিংবা মোডাল সিল্কও পরতে পারেন। দীপাবলী রাতের অনুষ্ঠানেই জামজমকভাবে সাজতে হয়। তাই উজ্জ্বল রঙের পোশাক বেছে নিন।

ফ্যাশনবিদরা জানান, এ বছর দীপাবলীতে ‘রয়্যাল কালার’-এর ট্রেন্ড এসেছে। রয়্যাল ব্লু, পার্পল, উজ্জ্বল গোলাপি। এসব রঙের শাড়ি বা পোশাক পরা যায়। তবে প্রিন্টের থেকে এক রঙের পোশাকই বেশি ভালো মানাবে।

ছেলেদের জন্য উৎসব উপলক্ষে সেল্‌ফ কাজের পাঞ্জাবি সেরা হবে। যা তারা স্ট্রেট প্যান্ট বা ধুতির সঙ্গে পরতে পারেন। আবার ছেলেরা ওয়াইড লেগড প্যান্টস পরতে পারেন। সঙ্গে হাঁটুঝুলের কুর্তা। আবার শর্ট কুর্তার সঙ্গে আর হাতাহীন বান্ডি জ্যাকেটও পরতে পারে ছেলেরা।

উজ্জ্বল রঙের যেমন লাল, কমলা, গোলাপি রঙের কাফতান পরতে পারে মেয়েরা। রাতের অনুষ্ঠানের জন্য স্টাইলিশ কাফতান ভালো লাগবে। করসেট টপের সঙ্গে শ্রাগ আর ট্রাউজ়ার পরলেও বেশ মানাবে।

এ বছরের দীপাবলীর উৎসবে নতুন করে ফিরেছে আনারকলি। আনারকলি এবার ফিরে এসেছে জ্যাকেট হিসাবে। জ্যাকেটের ভিতর কেউ ব্রালেট, কেউ ক্রপ টপ পরতে পারে। এর সঙ্গে  ওয়াইড লেগড প্যান্ট বা পালাজো পরা যেতে পারে। হালকা কাজের আনারকলি জ্যাকেটের সঙ্গে টর্ন ডেনিম প্যান্ট বা ওয়াইড লেগড ডেনিমও স্টাইল এখন বেশ ট্রেন্ডি।

ফ্যাশনবিদরা জানান, নারীরা শাড়ির মধ্যে নতুনত্ব আনতে করসেট ব্লাউজ বা করসেট টপ দিয়ে পরতে পারেন। তবে শাড়ি ছাড়াও করসেট পরা যেতে পারে। উজ্জ্বল সুতির ট্রাউজার, ডেনিম প্যান্ট বা স্কার্টের সঙ্গে ভারী কাজের করসেট টপ পরতে পারেন। এর সঙ্গে লম্বা ঝুলের শ্রাগ ভালো মানাবে।

Link copied!