ইসলাম ধর্মে কালিমা কালিমায়ে তাইয়্যেবা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। কালিমা জিকির করা সওয়াবের কাজ। মুসলমানদের জন্য কালিমা তায়্যেবার ফজিলত, মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। মৃত ব্যক্তির জন্য সওয়াব পাঠানোর উদ্দেশ্যেও কালিমায়ে তাইয়্যেবা পাঠ করা যেতে পারে।
বিভিন্ন হাদিসে কালিমায়ে তায়্যিবার ফজিলত ও সওয়াবের কথা বলা হয়েছে। হাদিসে বলা হয়, যে ব্যক্তি কালেমায়ে তাওহিদ পাঠ করবেন, কালেমায়ে তাওহিদের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে যার মৃত্যু হবে, সেই ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবেন, আল্লাহর কাছে তার প্রতিদান হলো জান্নাত।
মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যে কোনো ব্যক্তি এ সাক্ষ্য দিয়ে মারা গেল যে, ‘আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ্ নাই এবং আমি আল্লাহর রাসুল’, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। (সুনানে ইবনে মাজা)
ইতবান ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরও বলেছেন,
“আল্লাহ তা’আলা এমন ব্যক্তির উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলেছেন।“ (সহিহ বুখারি)
জীবিত অবস্থায় বেশি বেশি কালিমায়ে তায়্যেবা পাঠ করা উচিত। এমনকি মৃত ব্যক্তির আত্মায় সওয়াব পৌঁছানোর জন্যও কালেমা পাঠ করা যাবে। সেই সঙ্গে মৃত ব্যক্তির জন্য বেশি বেশি দোয়া করা, দান-সদকা করা, কোরআন তেলাওয়াত করা ও কালেমা তায়্যিবার জিকির বা অন্যান্য আমল করলে সওয়াব পাঠানো যেতে পারে।