অফিস, আদালত কিংবা বাড়ি সবত্রই এখন এসির ব্যবহার বেড়েছে। বাইরের তাপমাত্রা যত উঠছে, এসির ব্যবহারও ততই বাড়ছে। এমনকি কিছু কিছু জায়গা তো সারাক্ষণই এসি চলছে। এসির এমন বিরামহীন ব্যবহারে দুর্ঘটনারও শঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। বিদ্যুতচালিত এই যন্ত্রটির সঠিক ব্যবহার আর সঠিক যত্ন না হলে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে।
বর্তমান সময়ে এসি বিস্ফোরণে ঘটনা অহরহই ঘটছে। শুধু তাই নয়, এসি বিস্ফোরণ থেকে মারাত্মকভাবে আহতও হচ্ছেন অনেকেই। যা প্রাণনাশের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই এসি ব্যবহারের সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা এড়াতে এসি যাবতীয় বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।
· এসির ব্যবহার বেশি হচ্ছে? এসি ওয়্যারিং চেক করে নিন। কোম্পানির একজন টেকনিশিয়ানের সাহায্যে আলগা সংযোগগুলো পরীক্ষা করে নিন। সম্ভাব্য সমস্যা থাকলে আগেই সারিয়ে নিতে হবে। তাহলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।
· এসি ইউনিট থেকে অস্বাভাবিক কোন শব্দ কি বের হচ্ছে? কিংবা কোনো ধরণের গন্ধ কী পাচ্ছেন? এমন লক্ষণ থাকলে আগেই সতর্ক হোন। কারণ এসি ইউনিটে আওয়াজ থাকলে কিংবা অতিরিক্ত কম্পন আর পোড়া গন্ধ পেলে বুঝবেন বিপদ আসন্ন। অবিলম্বে এসি চালানো বন্ধ করে দিন। আর টেকনিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
· এসি ব্লোয়ার নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। নয়তো এসির শীতল করার ক্ষমতা কমে যায়। অতিরিক্ত গরম হয়ে ঘরকে ঠান্ডা করতে সময় নেয়। তাই মাসে অন্তত দুইবার কিংবা ১৫ দিনে একবার ফিল্টার পরিষ্কার করে নিন।
· এসি আউটডোর ইউনিটেও ধুলো জমে। এতে কন্ডেন্সার কয়েলগুলো ব্লক হয়ে যায়। যা থেকে এসির কার্যক্ষমতা কমে যায়। আর অতিরিক্ত গরম হয়। যা থেকেও বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই অভিজ্ঞদের সাহায্যে আউটডোর ইউনিটগুলোও পরিষ্কার করে নিন।
· এসির আউটডোর ইউনিটের চারপাশ যেন খোলা থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। সেখানে বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ইউনিটের চারপাশে কমপক্ষে দুই ফুট ক্লিয়ারেন্স জায়গা থাকা প্রয়োজন। এছাড়া ইউনিটের কাছে গ্যাসোলিন বা পেইন্টের মতো দাহ্য পদার্থ রাখাও উচিত নয়।
· এসি ইউনিট হিসাবে অবশ্যই আলাদা তার ব্যবহার করবেন। এক্সটেনশন কর্ড ব্যবহার করলে সার্কিট ওভারলোড হয়। এতে অতিরিক্ত গরম হয়ে বিস্ফোরিত হতে পারে। তাই আগেই সতর্ক হোন।