বাড়ির একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম টেলিভিশন। পরিবারের সবাই একসঙ্গে সময় কাটানো এবং সময় উপভোগ করার অন্যতম মাধ্যম এটি। যতই স্মার্টফোন থাকুক না কেন, টিভি স্ক্রিনে খেলা কিংবা সিনেমা দেখার মজাই আলাদা। তাই পরিবারের প্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ এই যন্ত্রটির যত্ন করতে হবে নিয়মিত।
ঘরের প্রতিটি আসবাবপত্রই নিত্যদিন পরিষ্কার করতে হয়। বাদ যায় না টিভিও। টিভি স্ক্রিনে নিয়মিত ধুলো ময়লা জমে। আর তা পরিষ্কার না করলে টিভির ছবি ভালোভাবে দেখা যায় না। টিভির স্ক্রিন খুবই সেনসিটিভ হয়। তাই এটি পরিষ্কার করতেও হয় সাবধানে।
বর্তমান সময়ে বাড়িতে বাড়িতে স্মার্ট টিভি থাকে। বেশির ভাগ বাড়িতেই এলইডি, এলসিডি, ওএলইডি, কিউএলইডি এবং প্লাজমা স্ক্রিন রয়েছে। যা খুবই সেনসিটিভ হয়। ভুল পদ্ধতিতে টিভির স্ক্রিন পরিষ্কার করলে তা স্থায়ীভাবে ক্ষতিও হতে পারে। তাই সঠিক উপায়ে টিভির স্ক্রিন পরিষ্কার করা জানতে হবে।
তবে ফ্ল্যাট-স্ক্রিন টিভিগুলো পরিষ্কারের পদ্ধতি কিন্তু খুব জটিল নয়। বরং খুবই সাধারণ উপায়ে তা পরিষ্কার করে নেওয়া যায়। এরজন্য ব্যবহার করতে হয় মাইক্রোফাইবার কাপড়। এই কাপড় দিয়েই টিভির স্ক্রিন মুছে নিতে হয়। কোনো প্রকার স্প্রে ব্যবহার করা লাগে না। শুধুমাত্র কাপড় দিয়ে মুছলেই ধুলো ময়লা কিংবা আঙুলের ছাপ পরিষ্কার হয়ে যায়। প্রতি সপ্তাহে একবার অন্তত টেলিভিশনের পর্দা পরিষ্কার করুন।
টিভির স্ক্রিন পরিস্কারের সময় টিভি বন্ধ রাখুন। এরপরই নরম, শুকনো মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করে আলতোভাবে মুছে নিন। আলতো করে দাগ মুছে ফেলার জন্য ইলেকট্রনিক ওয়াইপ ব্যবহার করা যায়। তবে সরাসরি টিভি স্ক্রিনে কিছু স্প্রে করবেন না। এতে টিভির ভেতরেও নষ্ট হতে পারে। স্ক্রিনটি একদিক থেকে মোছা শুরু করুন। সম্পূর্ণ স্ক্রিনটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করে নিন। এরপর বিপরীত দিকে এটিকে দ্বিতীয়বার মুছুন। টিভির স্ক্রিনে যদি কোনো সলিউশন ব্যবহার করেন তবে তা শুকাতে সময় দিন। ভেজা অবস্থায় মুছতে যাবেন না। এতে দাগ রয়ে যাবে। টিভির অন্যান্য অংশ স্ট্যান্ড বা পেছনের প্যানেল শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। টিভির ভেতরে পরিষ্কার করতে কমপ্রেসড এয়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
মনে রাখবেন, টিভির স্ক্রিন পরিষ্কারের জন্য মাইক্রোফাইবার কাপড় বেশিদিন ব্যবহার করা যাবে না। একই কাপড় বারবার ব্যবহার করলে স্ক্রিনে স্ক্র্যাচ পড়বে।
টিভির স্ক্রিন পরিষ্কারের পাশাপাশি এর রিমোর্ট পরিষ্কার রাখা জরুরি। কারণ রিমোর্ট অনেকেই ব্যবহার করেন। এতে কারো হাতে লেগে থাকা জীবাণু রিমোটে লেগে যায়। যা থেকে রোগ ছড়ায়। তাই নিয়মিত রিমোট পরিষ্কার করাও জরুরি।