বাগান করতে অনেকেই ভালোবাসে। কিন্তু শহুরে জীবনে ছোট্ট বারান্দায় বাগানের শখ পুরোপুরি মেটাতে পারা যায় না। তাই তো ঘরেই রাখে সবুজের ছোয়া। ঘরের মধ্যে একটু সবুজের ছোঁয়া পরিবেশটাই অন্যরকম হয়ে যায়। ঘরের সৌন্দর্য বাড়ার পাশাপাশি এতে মানসিক প্রশান্তিও আসে। বিশেষত বর্ষায় গাছ লাগালে ঘরের ভেতর বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। আবার কেউ কেউ গাছ দিয়ে ঘর সাজাতে ভালোবাসে। চলুন জেনে নেই, ঘর সাজাতে কোন কোন গাছ লাগাবেন-
স্ট্রিং অব পার্লস
বিদেশী এই গাছের পাতাগুলো ছোট ছোট মুক্তোর মতো দেখতে। সেই থেকেই এই গাছের নাম। মোটা-মটর আকৃতির লতাগুলো নিচের দিকে ট্রেইল করে এবং কয়েক ফুট বাড়তে পারে, তার পাত্রের উপরে ছড়িয়ে পড়ে। এটিতে ছোট সাদা ফুলও হয়। বারান্দায় একটি ঝুলন্ত টবে সাজিয়ে রাখতে পারেন এটি।
স্নেকপ্ল্যান্ট
গাছের নাম স্নেক হলেও সাপ বা এই সংক্রান্ত কোনো বৈশিষ্ট্যই এই গাছের নেই। একদম আলো ঢোকে না এমন কোণেও বেড়ে উঠবে এই গাছ। খুব বেশি পানিও প্রয়োজন পড়ে না। প্রায় অনেক ধরনের স্নেক প্ল্যান্ট আছে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী আপনি যেকোনোটি বাছাই করে নিতে পারেন। ড্রইং রুমের এক কোণে রেখে দিলে ঘরের সুন্দর্য বাড়ায় এই উদ্ভিদ।
স্পাইডার প্ল্যান্ট
যারা ইনডোর প্ল্যান্ট রাখেন তাদের বেশিরভাগ বাড়িতে এই গাছ থাকে। কেন রাখে জানেন? কারণ স্পাইডার প্ল্যান্ট ঘরের বাতাস শুদ্ধ রাখে। বাতাসের ক্ষতিকর পদার্থগুলো শোষণ করে এই প্ল্যান্ট। এমনকি ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা শোষণ করে ভ্যাপসা ভাব দূর করে। আপনিও রাখতে পারেন এই গাছ। কারণ কম আলোতে এবং কম যত্নেই এই গাছ বেশি ভাল ভাবে বাড়ে। পরিমিত পানি পেলেই এই গাছ বাড়তে থাকে। এই গাছটি আপনার রুমের জানালার পাশে অথবা রুমের কোণায় ঝুলিয়ে রাখলে সবচেয়ে বেশি সুন্দর দেখাবে।
মানি প্ল্যান্ট
বাজারে মানি প্ল্যান্টের বিভিন্ন প্রজাতি পাওয়া যায়। এই প্ল্যান্টেরও খুব একটা যত্নের প্রয়োজন হয় না। যে কোনও ঘরের কোণে, বাথরুমে, ফ্রিজের উপরে, রান্নাঘরের জানালায়, বসার ঘরের বইয়ের তাকে— সব জায়গারই শোভা বাড়ায় মানি প্ল্যান্ট। এমনকি এই গাছের জন্য মাটিরও প্রয়োজন হয় না। শুধু পানিতে ডুবিয়ে রাখলেও হয়।
ব্যাম্বু প্লান্ট
ছোট ছোট চীনা বাঁশ গাছগুলি পানিতেই বাড়ে এবং খুব কম আলোয় বেঁচে থাকে। বসার ঘরের সেন্টার টেবিলের উপর বা অন্য ঘরে সাজিয়ে রাখতে পারেন ব্যাম্বু প্লান্ট বা লাকি ব্যাম্বু প্লান্ট।
জেড
অনেকেই বনসাই পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে বনসাই-এর মতোই সুন্দর একটি গাছের নাম জেড। জেড গাছটি এক প্রকারের ক্যাকটাস কিন্তু এতে কোনো কাঁটা নেই। সহজেই বনসাই রূপ দেওয়া যায় বলে অনেকেই এই গাছ পছন্দ করেন অনেক বেশি। ক্যাকটাসের মতোই এই গাছ অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে পানি ছাড়া।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার রয়েছে নানান গুন। রূপচর্চা থেকে শুরু করে নানা রোগের ঔষধ এই প্ল্যান্ট। জেনে নিন তার আরেকটি গুন। ভালো ঘুমের জন্য শোবার ঘরে রাখুন অ্যালোভেরা।