• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অ্যাকুরিয়াম কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
অ্যাকুরিয়াম কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
অ্যাকুরিয়াম বসার ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। ছবি : সংগৃহীত

শহর কেন্দ্রিক জীবনে ড্রইং রুমের সৌন্দর্য বাড়ায় একটি অ্যাকুরিয়াম। ঘরের কোণে একটি অ্যাকুরিয়ামে জীবন্ত বাহারি রঙের মাছ থাকে। মাছগুলো অ্যাকুরিয়ামের পানিতে সাঁতার কাটটে থাকে। যা দেখলে নজর জুড়িয়ে যায়। ইট পাথরের দেয়ালের ভেতরে এ এক জীবন্ত অনুভূতি দেয়। তবে সুন্দর, চকচকে, মাছের জন্য সু-স্বাস্থ্যকর অ্যাকুরিয়াম মেইন্টেন করতেও শ্রম দিতে হয়। আপনি যদি ধৈর্য্যশীল আর সৌখিন হন, তবে একটি সুন্দর অ্যাকুরিয়াম ঘরের কোণে সাজিয়ে রাখতেই পারেন।

অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালনে অনেক সময় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন অনেকে। কারণ এর পরিচর্যা, মাছের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এমন অনেক কিছু নিয়েই বিপাকে থাকেন। এরসময় ভাঙা অ্যাকুরিয়ামের জায়গা হয় বাড়ির স্টোররুমে। অধিকাংশ মানুষই অ্যাকুরিয়ামের ব্যাপারে সঠিক তথ্য না পাওয়ায় পরিণতি এমন হয়। মাছ পালেন সঠিক তথ্য না থাকায় মাছগুলো অসুখে মারা যায়। তাই বাড়িতে অ্যাকুরিয়াম কেনার আগে সঠিক ধারণা থাকা জরুরি।

  • অ্যাকুরিয়াম কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ঘরের মাপের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ বেশী বড় বা বেশি ছোট অ্যাকুরিয়াম ঘরে বেমানান লাগবে। ১০ ফুট বাই ১৫ ফুট দীর্ঘ ঘরের জন্য ২ফুট বাই ১ ফুট বা ২.৫ফুট বাই ১.৫ ফুট অ্যাকুরিয়াম আদর্শ।
  • কাঁচের পুরুত্ব দেখে কিনবেন। বড় অ্যাকুরিয়ামের ক্ষেত্রে পুরু কাঁচ নেওয়াটাই ভালো।
  • ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অ্যাকুরিয়ামের দোকান আছে। তবে কাঁটাবনে সব সাইজের অ্যাকুরিয়াম পাবেন। অ্যাকুরিয়ামের স্ট্যান্ডসহ ২ ফুট বাই ১ ফুট বা ২.৫ ফুট বাই ১.৫ ফুট অ্যাকুরিয়াম একহাজার টাকায় কিনতে পারবেন।
  • এরপর অ্যাকুরিয়ামে বিভিন্ন উপাদান যোগ হবে। পাথর কুঁচি, ফিল্টার, এয়ার মোটর, রাবারের ফ্লেক্সিবল পাইপ, এয়ার এক্সিকিউটর। সাধারণ সাইজের অ্যাকুরিয়ামের জন্য প্রায় দশ কেজি পাথর কুঁচির (প্রতি কেজি ১৫-২০টাকা) প্রয়োজন। এয়ার মোটরের দাম (সাধারণ মানের) প্রায় ২৫০-৬৫০ টাকা, ফ্লেক্সিবল পাইপ ১০ টাকা গজ, এয়ার এক্সিকিউটর ১০০-২৫০ টাকা, ফিল্টার ১০০ টাকায় পাওয়া যায়। এটাই একটি অ্যাকুরিয়ামের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান।
  • প্রয়োজনীয় উপাদান সেট হয়ে গেলে এবার নিজের পছন্দের বিভিন্ন ডেকোরেশন আইটেম দিয়ে সাজিয়ে নিন।
  • অ্যাকুরিয়ামে আলো জ্বালাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করুন। বাজারে হ্যালোজেন বাল্ব পাওয়া যায়। যেটা একেবারে চিকন এবং আলোটাও কিছুটা বেগুনি। এই আলোতে মাছের কালারগুলো খুব সুন্দর লাগে।
  • একটি ইলেকট্রিক ওয়াটার হিটার সেট করুন। এটা পানিকে মাঝে মাঝে হালকা উষ্ণ রাখে। কারণ মাছ অসুস্থ হয়ে পড়ে বেশী গরম ও ঠান্ডা পানিতে। পানি বেশি ঠান্ডা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বৃষ্টির দিনে বা শীতের দিনে। এক্ষেত্রে একটা ওয়াটার হিটার বেশ কার্যকরী। বাজারে ১০০-৫০০ টাকায় পাওয়া যায়। অটো ওয়াটার হিটার কিনে লাগিয়ে নিন।
  • অ্যাকুরিয়ামে পাথর কুঁচির নিচে একটি ওয়েট ডাস্ট ফিল্টার রাখতে হয়। এতে থাকা এয়ার এক্সিকিউটর বাতাস বের হওয়ার সময় ভিতরে কিছুটা উর্ধ্বচাপের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ময়লা খুব ধীরে ধীরে পাথরের ভিতর দিয়ে ওই ফিল্টারের নিচে গিয়ে জমা হয়। অ্যাকুরিয়ামে সবসময়ের জন্য এই যন্ত্রটি চালিয়ে রাখতে হবে।
  • অ্যাকুরিয়ামে গোল্ডফিশ, এঞ্জেল, শার্ক, টাইগার বার্ব, ক্যাট ফিশ, ঘোস্ট ফিশ, মলি, গাপ্পি, ফাইটার (বেট্টা), সাকারসহ আরও অনেক বাহারি রঙের মাছ দিয়ে সাজাতে পারেন। 
Link copied!