বয়স বাড়লে ত্বকের যত্নও বাড়াতে হয়। ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখা আর ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। অনেকেরই পার্লারে যাওয়ার সময় হয় না। আবার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে বাজার পাওয়া পণ্যের উপরও ভরসা রাখা যায় না। এক্ষেত্রে ঘরোয়া উপাদানই ভরসা। যা দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নেওয়া যাবে সহজেই। তবে ফেসপ্যাক লাগানোর আগে ত্বকের ধরণ বুঝতে হবে। একেক ত্বকের জন্য একেক উপাদান দিয়ে ফেসপ্যাক বানাতে হয়। এর জন্য ত্বকের ধরণ বুঝতে হবে। ত্বকের ধরণ বুঝলেই উপযুক্ত ফেসপ্যাক বানানো যাবে।
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এমন ফেসপ্যাক বানাতে হবে যা অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে। শসা, অ্যালো ভেরা, বেসন এবং এক চিমটে হলুদের মিশ্রণে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। এই ফেসপ্যাক লাগালে তৈলাক্ত ত্বক হয়ে উঠবে মুক্তোর মতো চকচকে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং ত্বককে সজীব করতে শসা অতুলনীয়। শসার মূল উপাদান পানি। ত্বকের উপরিভাগের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে পারে এর জুড়ি নেই।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকের জন্য় প্রধান উপাদান হতে পারে টক দই। এটি রোদের পোড়া থেকেও রেহাই দেবে। এছাড়া শুষ্ক ত্বকের প্রধান সমস্যা হলো ত্বকের মৃত কোষ বা মরা চামড়া। মৃত কোষ না সরালে দামি প্রসাধনীই ব্যবহার করেও কোনো কাজ হবে না। এক্ষেত্রে স্ক্রাবার ব্যবহার করুন। মধু, টক দই এবং ওট্মিলের প্যাক বানিয়ে ত্বকে লাগান। ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
স্পর্শকাতর ত্বক
স্পর্শকাতর ত্বকে কোনো উপাদান ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকতে হবে। এই ত্বকে গোলাপ জল, কমলালেবুর খোসা এবং হলুদের মতো প্রাকৃতিক উপাদানগুলো কার্যকরী হতে পারে। এছাড়াও দিনের যে কোনও সময়ে মুখে গোলাপ জল স্প্রে করা যায়। গোলাপ জলে কমলালেবুর খোসা এবং এক চিমটে হলুদের গুড়ো মিশিয়ে নিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
এছাড়াও এক কাপ গোলাপের পাপড়ি ব্লেন্ডারে সামান্য জল মিশিয়ে মিহি পেস্ট বানিয়ে এতে অ্যালোভেরা জেল এবং একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস নিয়ে ফেসপ্যাক বানান। শেষে মাত্র ১ চামচ চন্দনের গুঁড়ো যোগ করুন।এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলেই উজ্জ্বলতা পেয়ে যাবেন।