নিজের বলতে তেমন কেউ ছিলেন না। নাম কার্ট ডেগেরম্যান। লোকে ডাকত টিন ক্যান-কার্ট বলে। উত্তর সুইডেনের স্কেলেফটিয়ার বাসিন্দা ছিলেন কার্ট। কখনো কারো কোনো ক্ষতি করেননি। দিনভর রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। আর রাস্তা থেকে টিনের ক্যান কুড়িয়ে নিতেন। অনেকেই তাকে পাগল বলতেন।
হঠাৎ লোকটি মারা যাওয়ার পর দেখা গেল তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে ১০ লাখ পাউন্ড। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা।
দিনের পর দিন একটাই পোশাক। গায়ে বোঁটকা গন্ধ। রাস্তায় পড়ে থাকা টিনের ক্যান কুড়িয়ে বিক্রি করতেন। লোকের ফেলে দেওয়া স্যান্ডউইচ খেয়ে পেট ভরাতেন। অনেক দিন কিছু না খেয়েও কাটিয়ে দিতেন। পড়াশোনায় বেশ ভাল থাকার পরেও কেন স্কুল ছাড়েন সেটি কাউকে জানাতে চাননি তিনি। এভাবেই কেটেছিল তার জীবন।
রোজ কার্টকে যারা দেখতেন, কোনো দিন ভাবতেই পারেননি কিসে তার ঝোঁক। আসলে শেয়ার কেনাবেচায় দারুণ ঝোক ছিল কার্টের। বাতিল ক্যান বিক্রির টাকা শেয়ারে বিনিয়োগ করতেন। শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য পরিশ্রমও কম করতেন না কার্ট। পত্রিকার শেয়ার সংক্রান্ত সব খবর পড়তেন। ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে খতিয়ে দেখতেন।
এক দিন হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কার্ট। তার আত্মীয়রা জানতে পারেন, সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ৭ লাখ ৩১ হাজার পাউন্ড রয়েছে কার্টের নামে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বেশি।
শুধু তাই নয় সোনার বারও কিনে রেখেছিলেন কার্ট। সেই সোনার বারের মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। বাড়িতে খুচরো হিসাবে পড়েছিল ২৭৫ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৩৬ হাজার টাকা।
মৃত্যুর আগে উইল করেছিলেন কার্ট। নিজের যাবতীয় সম্পত্তি এক চাচাত ভাইয়ের নামে লিখে গিয়েছিলেন। সেই ভাই মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। তার খোঁজখবর নিতেন।