প্রায় দেশজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা ছড়িয়ে পড়ে। যার প্রভাব পড়ে কর্মক্ষেত্রেও। নোটিশ ছাড়াই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাটাই শুরু করে। অনেকে সংস্থা বন্ধও হয়ে যায়। যার কারণে বেকারত্ম বেড়ে যায়। প্রতিদিনই চাকরি হারানোর ভয়ে থাকে কর্মীরা। মালিকপক্ষ কোনো কারণ ছাড়াও, শুধুমাত্র ইচ্ছের বশে এসেছে কর্মী ছাঁটাই করতে পারে। কর্মীর প্রতি অসন্তুষ্টি কিংবা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যার কারণে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এর মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এসে কর্মক্ষেত্রের পুরো পরিস্থিতি বদলে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজের চাকরিটা বজায় থাকবে কিনা তা নিয়েও টেনশনে রয়েছেন অনেকে। তাই নিজের চাকরিটাকে পোক্ত অবস্থানে রাখতে কী করবেন তা নিয়েই কিছু পরামর্শ থাকছে এই আয়োজনে।
· নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে সবসময় আপডেট রাখুন নিজেকে। চাকরি হারানোর সম্ভাবনা কমে যাবে। সেই সঙ্গে নতুন চাকরি পাওয়ায় সুযোগও বাড়বে। চাকরি বাজারের কঠিন পরিস্থিতিতে সব স্কিল আয়ত্তে রাখার বিকল্প উপায় নেই। তাই চাকরি হারানোর ভয় কমাতে অবশ্যই নতুন প্রযুক্তি আয়ত্ত করুন।
· প্রযুক্তির উদ্ভাবনে কাজের সময় আর কর্মপদ্ধতিতেও নানা পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন মেনে এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা রাখুন। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিলেই টিকে থাকতে পারবেন।
· অদূর ভবিষ্যতে অনেক কাজই অটোমেটেড হয়ে যাবে। প্রযুক্তির বদল ঘটবে, নিত্যনতুন প্রযুক্তির প্রয়োগও হবে। সেসব প্রযুক্তি যদি চটপট শিখে নিতে না পারেন, তবে চাকরির বাজারে আনফিট হয়ে যাবেন।
· কোনও একটা কাজে আপনি পারদর্শী, তাতে কিন্তু চাকরিতে টিকে থাকার সম্ভাবনা কমে যাবে। বরং তিনরকমের কাজে যদি আপনি পারদর্শী হোন আপনার চাকরি টেকসই হবে। সংস্থা আপনার থেকে যত কাজ আদায় করতে পারবে, আপনার কদরও তত বাড়বে। তাই এক কাজে বন্দী না থেকে নতুন দক্ষতা অর্জন করুন।
· ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিনির্ভর হবে। কিন্তু যন্ত্র কখনও মানুষকে ছাপিয়ে যেতে পারে না। কারণ সৃজনশীলতা, নতুন অভিনব ভাবনাচিন্তা মানুষের মস্তিষ্ক থেকেই আবিস্কার হয়। যা কখনওই পুরোনো হয় না। তাই নতুনভাবে কাজ করা, নতুন আইডিয়া বের করা সবকিছুই আয়ত্ত করুন। একভাবে চিন্তা না করে, নিজের চিন্তাশক্তিকে বাড়িয়ে তুলুন।
· সংস্থার স্বার্থে নিজেকে নিবেদিত করুন। সংস্থার যেকোনো প্রয়োজনে নিজেকে এগিয়ে দিন। নিজের জায়গাটি দৃঢ় করতে আপনাকে পরিশ্রম করতেই হবে। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করুন। কাজের পরিবেশে নেতিবাচক দিকগুলো এড়িয়ে চলুন।