দক্ষিণ ভারতীয় শাড়ি কাঞ্জিভরম, ভারতের সীমা পেরিয়ে এদেশের নারীদের মনেও জায়গা করে নিয়েচে বেশ আগেই। যদিও এখন শাড়ি পরার চলন কমে এসেছে। তবে উৎসব, পার্বনে শাড়ি পরার কথা ভুলে না। যদিও হালকা শাড়িই বেশি পছন্দ তাদের। তবুও সিল্কের এই শাড়ির উজ্জ্বলতা ও ঝলমলে ভাব টানে অনেককেই। দক্ষিণী এই শাড়ির ৭ ধরণ। একেকটার একেক ধরনের বৈশিষ্ট। জেনে নিন, কাঞ্জিভরমের কোনটার কোন ধরণ-
ঐতিহ্যবাহী কাঞ্জিভরম
চওড়া পাড়ই হলো ঐতিহ্যবাহী কাঞ্জিভরমের মূল বৈশিষ্ট্য । এতে জরি বা সুতোর কাজ থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। শাড়ি জুড়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে মুদ্রা বা চক্রের ‘মোটিফ’ বা প্রতীক থাকে।
কোরভাই কাঞ্জিভরম
কোরভাই কাঞ্জির বৈশিষ্ট্য হলো এর জমি আর পাড় সম্পূর্ণ আলাদাভাবে বোনা হয়। ফলে শাড়িতে নানা রকম রংমিলন্তি তৈরি করা যায়। এমনটা সচরাচর চোখে পড়ে না।
টিস্যু সিল্ক কাঞ্জিভরম
অন্য সব কাঞ্জিভরম থেকে এই টিস্যু সিল্ক কাঞ্জিভরম অনেক বেশি হালকা। তাই গরমেও এই শাড়ি আরামদায়ক।
জরি ব্রোকেড কাঞ্জিভরম
জরি ব্রোকেড কাঞ্জিভরম শাড়ির জমিনে ছোট ছোট লতাপাতা, ফুল, ময়ূর বা অন্যকিছুর মোটিফ থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জমিনের রঙের কাছাকাছি রঙের সুতা দিয়ে কাজ করা হয়। তবে কখনো কখনো বিপরীতধর্মী রংও ব্যবহার করা হয়।
পাড়হীন কাঞ্জিভরম
নামেই বোঝা যায়, ঐতিহ্যবাহী নকশাকে বিদায় জানানোই এই কাঞ্জিভরম বানানোর লক্ষ্য। ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলে এই শাড়ি তৈরি হয়।
সোনা-রূপার সুতার কাঞ্জিভরম
সিল্কের সঙ্গে সোনা কিংবা রূপার তৈরি জরি মিশে তৈরি হয় থ্রেড ব্রোকেড কাঞ্জিভরম। এজন্যই এমন নাম। বিশেষ ওই বুনন পদ্ধতি কাঞ্জিভরমের রংকে অন্য মাত্রা দেয়।
পাট্টুপেট্টু কাঞ্জিভরমে
এই শাড়ির বৈশিষ্ট হলো চওড়া পাড়ে সূক্ষ্ম নকশা আর শাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট বুটি। পাট্টুপেট্টু কাঞ্জিভরমকে বুটিদার বা বুটা কাঞ্জিভরমও বলেন অনেকে।