হাই তোলা, হাঁচি দেওয়ার মতোই সহজ স্বভাবজাত ঘটনা হচ্ছে ঢেকুর তোলা। প্রত্যেক মানুষেরই ঢেকুর তুলতে হয়। বিশেষ করে খাবারের পর ঢেকুর তোলা যেন স্বাভাবিক ঘটনা। ঢেকুরের শব্দ খানিকটা অস্বস্তিকর। তাই অন্য কারো সামনে ঢেকুর উঠলে নিজের কাছেও অস্বস্তি বোধ হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ঢেকুর তোলা খাবার পরিপাকের সঙ্গে যুক্ত। সাধারণত ব্যক্তির হজমপ্রক্রিয়ার উপরই ঢেকুর তোলা নির্ভর করে। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠলেই পানি পানের পর ঢেকুর উঠলে তা স্বাভাবিক নাও হতে পারে।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানা যায়, দিনে ৩০ বার পর্যন্ত ঢেকুর তোলা স্বাভাবিক। খাবার খেলে যে ঢেকুর উঠবে এটা খুবই সাধারণ। এতে আবার অবাক হওয়ার কী আছে। তবে যখন-তখন জোরসে আওয়াজ করে ঢেকুর তুললে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বৈকি! সশব্দে বা জোরে ঢেকুর তোলা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সময় অসময়ে ঢেকুর তোলা নিয়ন্ত্রণে করা যায়।
আদা চিবিয়ে খান
অপ্রয়োজনীয় ঢেকুর ওঠা থেকে রেহাই দিতে পারে আদা। আদার ঝাঁঝালো স্বাদ আয়ত্ত করে নিতে পারে। এরপর প্রতিদিন আদা কুচি চিবোতে পারেন। সারাদিনে তিনবার এই অভ্যাস করুন। ঝাঁঝালো স্বাদ অস্বস্তি হলে মধু মিশিয়ে নিন। এছাড়া আদা চা পান করলেও উপকার পাবেন।
দই খাবেন
টক দই হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে। সেই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় ঢেকুরও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই নিয়মিত ডায়েটে টক দই যোগ করুন। অনেকেই ল্যাকটোজ ইনটলারেন্টের সমস্যায় দুধ বা দুগ্ধজাত প্রোডাক্ট খেলেই ঢেকুর উঠে। তারা নিশ্চিন্তে দই খেতে পারেন। এটি পেট ঠান্ডাও রাখবে।
হিং ও মৌরি
ঢেকুরের সমস্যার সমাধান দেবে হিং ও মৌরি। ডাল খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তাতে ১ চা চামচ হিং আর ১/৪ চামচ মৌরি ফোড়ন দিন। দুই বেলা করে খান। অপ্রয়োজনীয় ঢেকুর নিয়ন্ত্রণে আসবে।
পুদিনা চা খেতে পারেন
পুদিনা পাতা খেলেও অবাঞ্চিত ঢেকুর দূরে থাকবে। নিয়মিত কাঁচা পুদিনা পাতা চিবোতে পারেন। আবার পুদিনা পাতা দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারেন। পানির সঙ্গে পুদিনা পাতা ভালো করে ফুটিয়ে গরম গরম পান করুন। ঢেকুর নিয়ন্ত্রণ হবে।
পাঁকা পেঁপে খান
হজম ক্ষমতা বাড়াতে পেঁপের জুড়ি নেই। নিয়মিত পেঁপে খেলে পেটে গ্যাস হয় না। এতে অপ্রয়োজনীয় ঢেকুরের যন্ত্রণায় পড়তেও হয় না। তাই পাকা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন।