শীতের মৌসুম চলে আসছে। কনকনে শীত না হলেও বাতাসে এখন শিরশির অনুভূতি। ত্বকের টান ভাব বেড়ে যাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের। রুক্ষতা বেড়েছে। শীতের ধুলাবালির কারণে বেড়েছে চুলকানিও। এই সময় ত্বকে কমবেশি চুলকারি বা র্যাশ দেখা যায়। শুষ্ক ত্বকে এই সমস্যা বেশি হয়। তাই শীতের সময় র্যাশ ও চুলকানি সমস্যা সমাধানের উপায় জানতে হবে। ঘরের উপকরণ দিয়েই এসব প্রতিকার সম্ভব। প্রতি মাসের বাজারে ঘরের জন্য যে উপকরণ কিনে আনেন। তা দিয়েই ত্বকের চর্চা করুন। দেখবেন র্যাশ বা চুলকানির সমস্যার সমাধান পাবেন। চলুন এই আয়োজনে জেনে নেই কীভাবে ত্বকের র্যাশ ও চুলকানি দূর করা সম্ভব।
দুধের সর
ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে দুধের সরের জুড়ি নেই। তাই চুলকুনি বা র্যাশ হলেও এটি প্রতিকারের কাজ করে। চুলকানি বা র্যাশের স্থানে দুধের সর লাগিয়ে নিন। রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে নিতে পারেন। সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। দেখবেন র্যাশ ও চুলকানি কমে গেছে।
নারকেল তেল সঙ্গে কর্পূর
ত্বকে চুলকানি কমাতে নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে লাগাতে পারেন। ত্বকের যে স্থানে র্যাশ বা চুলকানি হয়েছে সেখানে লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন দ্রুত সেরে উঠেছে।
কাঁচা দুধের সঙ্গে ওটস
ওটস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। ত্বকের যত্নেও ওটস কার্যকর। কাঁচা দুধের সঙ্গে ওটস মিলিয়ে ত্বকে লাগালেই চুলকানি কমে যাবে। এরজন্য দুধের মধ্যে ওটস দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এটি ব্লেন্ড করুন। এটি সারা শরীরে মেখে নিলেও উপকার পাবেন। শুকিয়ে এলে ভালোভাবে গোসল করে নিন। এটি ত্বকের র্যাশ দূর করবে।
নারকেল তেল, লেবু ও চিনি
একটি পাতিলেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে নিন। ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এতে নারকেল তেল দিন। পুরো শরীরে লাগিয়ে নিন। মুখে, গলায়, পিঠে লাগাতে পারেন। কিছুক্ষণ পানিতে ধুয়ে নিন। চুলকানি কমে যাবে।
কলা- মধুর মিশ্রণ
একটি পাকা কলার সঙ্গে মধু মিশিয়ে লাগালেও চুলকানি বা র্যাশ কমে যাবে। পাকা কলা ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এরসঙ্গে মধু মিশিয়ে এরপর ত্বকে লাগান। মুখসহ গলায়, ঘাড়ে ও পিঠে লাগাতে পারেন। ত্বকের চুলকুনি ভাব দূর হয়ে যাবে।