প্রতিদিন প্রতিবেলাতেই ভাত রান্না হচ্ছে। ভাত রান্নার পর ফ্যান ছেঁকে ঝরঝরে করা হয়। ভাতের ফ্যানটুকু সঙ্গে সঙ্গেই ফেলে দেওয়া হয়। প্রতিদিনের এই কাজটি এখন থেকে আর করবেন না। বরং পরিষ্কার পাত্রে ভাতের ফ্যানটি সংরক্ষণ করে রাখুন। কারণ এই ফ্যান দিয়েই হবে আরও ৫টি পদের রান্না।
ভাতের ফ্যান পুষ্টিতে ভরপুর। এতে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও স্টার্চ থাকে। বলা যায়, ভাতের পুষ্টিগুণের অধিকাংশই ফ্যানের মধ্যেই রয়ে যায়। তাইতো অনেকে সিদ্ধ ভাত রান্না করেন। ফ্যান ভাতের সঙ্গেই শুকিয়ে নেন। যেন পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে। তবে যারা এভাবে ভাত রান্না করতে অভ্যস্ত নন, তারাও এই ফ্যানকে কাজে লাগাতে পারেন। সংসারের অন্যান্য রান্নায় ভাতের ফ্যানের ব্যবহার করতে পারেন। এতে রান্নাও সুস্বাদু হবে। পুরোপুরি পুষ্টিও পাওয়া যাবে।
স্যুপ
শীতের মৌসুম কিংবা অন্য যেকোনো সময় স্যুপ খাওয়া হয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যারা প্রায়ই বাড়িতে স্যুপ রান্না করেন, তারা ভাতের ফ্যানের ব্যবহার করতে পারেন। স্যুপ ঘন করতে সাধারণত কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার হয়। স্যুপে ভাতের ফ্যান ব্যবহার করলে কর্নফ্লাওয়ারের প্রয়োজন হবে না। সবজি চিকেন যেকোনো স্যুপকেই ঘন করতে ভাতের ফ্যান বেশ কার্যকরী হয়। এতে পুষ্টিও বেশি পাওয়া যায়।
সবজি বা দানাশস্য সিদ্ধ করতে
ডায়েটে ডালিয়া, কিনোয়ার মতো শস্য রাখেন অনেকে। আবার সেদ্ধ সবজিও খান। সবজি বা দানাশস্য সিদ্ধ করতে পানি ব্যবহার না করে ভাতের ফ্যানকে কাজে লাগান। এতে মিলেট জাতীয় শস্য সিদ্ধ হয়ে যাবে এবং খাবারের পুষ্টিগুণও বাড়বে।
স্মুদি বা শেক
অনেক বাড়িতেই সকালের নাস্তায় স্মুদি বা শেক খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। ফল, সবজি, বাদাম দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খান অনেকে। যা বেশ স্বাস্থ্যসম্মত হয়। স্মুদি বা শেকে দুধ বা টক দই ব্যবহার হয়। এবার দুধ বা দইয়ের পরিবর্তে ভাতের ফ্যান ব্যবহার করে দেখুন। এতে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকবে। শরীর শক্তিও পাবে।
ওটমিল
ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল হোক বা ওবেসিটির মতো রোগের জন্য ওটমিল খাওয়া উপকারী। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ওটস থাকা জরুরি। এটি বিভিন্ন উপায়ে রান্না করা যায়। খিচুড়ি বানিয়ে কিংবা অন্যভাবেও ওটমিল রান্না করা যায়। ওটমিল রান্নার সময় ভাতের ফ্যান ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে পুষ্টির মাত্রা বাড়বে।
মশলাদার ভাতের ফ্যান
ভাতের ফ্যান খালিও পান করা যায়। তবে এর সঙ্গে কিছু মশলা মিশিয়ে নিয়ে আরও সুস্বাদু বানানো যায়। বিট লবণ, দারুচিনির গুঁড়ো, আদার গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো আর ঘি ভাতের ফ্যানের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে যাবে মশলাদার ভাতের ফ্যান। যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।