পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষ। একদিন পরই ঈদুল ফিতর। ঈদের সকালে মিষ্টি মুখ করে নামাজ আদায় করতে যাবেন মুসল্লিরা। এরপর ঈদের বিশেষ খাবার খেতে অতিথিদের বাসায় যাবেন। আপনার বাড়িতেও অতিথিরা আসবেন। তাই ঈদের খাবারে বিশেষ আয়োজনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। অনেকেই ঈদে ভিন্নপদের খাবার খেতে পছন্দ করেন। তাই প্রতিবছরই ঈদে ভিন্ন পদ বানানো হয়। এবারের ঈদেও পরিবারের জন্য ভিন্ন কিছু পদ বানিয়ে নিতে পারেন।
ঈদ উপলক্ষে মজার মজার বিভিন্ন রকমের খাবারের রেসিপি জেনে নিন এই আয়োজনে।
মজাদার ‘সেমাইয়ের ক্ষীর’ বানাতে যা যা লাগবে
- সেমাই- দুই কাপ
- দুধ - এক লিটার
- ঘি- দুই টেবিল চামচ
- এলাচ, লবঙ্গ- চারটি
- চিনি-পরিমাণমতো
- বাদাম, কিশমিশ- পরিমাণমতো
- গোলাপ পাপড়ি
যেভাবে বানাবেন
১ টেবিল চামচ ঘি গরম করে ৩টি লবঙ্গ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড নাড়ুন। ১ কাপ সেমাই ভেঙে দিয়ে দিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন বাদামি রঙ না আসা পর্যন্ত। চুলার আঁচ মাঝারি করে রাখুন। এবার ১ লিটার দুধ দিয়ে দিন। ফুটে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ফুটে উঠলে স্বাদ মতো চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। জাফরান ও বাদাম কুচি দিন। আধা চা চামচ এলাচ গুঁড়া দিয়ে দিন। নেড়েচেড়ে কয়েকটি গোলাপের শুকনা পাপড়ি দিন। দুধ ঘন হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে কিশমিশ ছিটিয়ে দিন। পরিবেশন করুন ঠান্ডা করে।
ব্রকলির কাবাব বানাতে যা যা লাগবে
- ব্রকলি- ১টি
- আলু- ২টি
- গ্রেট করা চিজ- আধা কাপ
- কাবাব মসলা- ২ চা-চামচ
- গোলমরিচের গুঁড়া- আধা চা-চামচ
- কাঁচা মরিচ কুচি- ২টি
- পেঁয়াজকুচি - ২টি
- আদা-রসুনগুঁড়া- ২ চা–চামচ
- লবণ- স্বাদমতো
- মাখন- ২ টেবিল চামচ
- সাদা তিল- ২ টেবিল চামচ
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে আলু ও ব্রকলি ছোট করে কেটে ধুয়ে নিন। এরপর সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হলে নামিয়ে অতিরিক্ত পানি মুছে নিন। এবার চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ হালকা ভেজে নিন। আলু আর ব্রকলি একসঙ্গে মাখিয়ে নিন। সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার কাবাব বানিয়ে নিন। এর উপরে সাদা তিল ছিটিয়ে দিন। তেল ছাড়া ভাজতে চাইলে এয়ার ফ্রায়ারে দিন। আবার ননস্টিকি পাত্রে হালকা মাখন দিয়ে এপিট ওপিট করে কাবাবগুলো ভেজে নিতে পারেন। লালচে হলে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে যাবে ব্রকলির কাবাব। এরপর পছন্দনীয় সস বা চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।
ড্রাগন ফলের পুডিং বানাতে যা যা লাগবে
- ড্রাগন ফল- ২টি
- সাবু দানা- ১ কাপ
- চিয়াসিড- ৪–৫ টেবিল চামচ
- গুঁড়া দুধ- ১ কাপ
- তরল দুধ- আধা লিটার
- চিনি- স্বাদমতো
- বরফ- পরিমাণমতো
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে সাবুদানা ধুয়ে গরম পানিতে সেদ্ধ করে নিন। এরপর ঠান্ডা পানি ঢেলে ছেঁকে নিন। এদিকে দুধ জ্বাল দিয়ে নিন। এতে গুঁড়া দুধ, চিনি ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিন। এরপর সাবু দানা মিশিয়ে নিন। চিয়াসিড পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ফুলে উঠলে এবার দুধের মিশ্রণে মিশিয়ে নিন। ড্রাগন ফল ছোট ছোট টুকরা করে কেটে মিশিয়ে নিন। এরপর ঠাণ্ডা হতে ফ্রিজে রাখুন। পরিবেশনের আগে বরফ দিয়ে নিতে পারেন। তৈরি হয়ে যাবে ড্রাগন ফলের পুডিং।
রঙিন `রোজ ডামপ্লিং` বানাতে যা যা লাগবে
- চিংড়ির কিমা- ১ কাপ
- বাঁধাকপিকুচি- আধা কাপ
- গাজরকুচি- আধা কাপ
- কাঁচামরিচ কুচি- ১ টেবিল চামচ
- গোলমরিচ গুঁড়া- সিকি চা–চামচ
- সয়া সস- ১ চা-চামচ
- টমেটো সস- ১ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজকুচি- ১ টেবিল চামচ
- লবণ- পরিমাণমতো
- বিটের রস- ১ কাপ
- ময়দা- ২ কাপ
- কর্নফ্লাওয়ার- ২ টেবিল চামচ
- তেল- সামান্য
- লবণ- স্বাদমতো
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে বিটের রস সামান্য গরম করে নিন। এবার এতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার আর লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। চুলা থেকে নামিয়ে নিন। এবার হাতে সামান্য তেল মাখুন। ভালোভাবে কয়েক মিনিট খামিরটি মথে নিন। যত ভালোভাবে মথে নিবেন ডাম্পলিং তত নরম হবে। এদিকে চিংড়ি কিমা, বাঁধাকপিকুচি ও গাজরকুচি পাঁচ মিনিট ভাপিয়ে নিন। এবার বাকি সবকিছু একে একে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার খামির দিয়ে লুচির মতো ছোট ছোট করে বানিয়ে নিন। এর ভেতরে একটু করে চিংড়ির কিমার পুর দিয়ে নিন। পছন্দমতো ভাঁজ করুন। এরপর চুলায় পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এর উপর একটি ছাচ বসিয়ে ডাম্পলিং ভাপিয়ে নিন। ডাম্পলিংগুলো সাজিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১০ থেকে ১২ মিনিট ভাপ দিন। এরপর নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন বিটের রঙে রঙিন ডাম্পলিং।