সারাদিন আমরা যে পরিমাণে খাবার খাই, সেই পরিমাণে কি ক্যালোরি ঝরাতে পারছি? এ কথা চিন্তা করে হয়তো খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছি। তাতে আমাদের শরীর হয়ে পড়ছে দুর্বল। তবে এমন অনেক উপায় আছে যেগুলো প্রয়োগ করে ঘুমিয়ে ওজন কমানো সম্ভব। তবে এর জন্য ডায়েট এবং দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন প্রয়োজন।
ট্রিপটোফান খাওয়া
ট্রিপটোফান খাবারের এমন একটি উপাদান যা, আপনাকে আরও ক্লান্তি আনতে পারে। এই অ্যামিনো অ্যাসিডটি বিভিন্ন ধরণের মাংস থেকে পাওয়া যায়। এতে ঘুম হয় আরও গভীর। গভীর ঘুম আপনাকে আরও ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করবে।
এক কাপ চা
ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ চা পান করুন। ক্যামোমাইল, ল্যাভেন্ডার বা ভ্যালেরিয়ান স্বাদযুক্ত চা বেছে নিন। এগুলো আপনাকে বিশ্রাম নিতে সাহায্য করবে। কিছু চা ক্ষুধা দমন করতেও সহায়তা করে।
দিনের বেলা রুটি খাওয়া
রুটি রাতের খাবারের পরিবর্তে মধ্যাহ্নভোজনের সময় খাওয়া উচিত। কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকায় এ সব খাবার দিনেই খাওয়া ভাল। এতে আপনার পাচনতন্ত্র শিথিল থাকবে। ক্যালোরি ঝরাবে দ্রুত।
স্ন্যাকস
ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাস্তা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ঘুমানোর সময় আপনার পেটকে যতটা সম্ভব স্থির এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় রাখুন।
রান্নাঘর বন্ধ রাখা
রাতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর রান্নাঘরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার খাবার ইচ্ছা চলে যাবে। অতিরিক্ত স্ন্যাকস খাওয়া থেকে আপনি রক্ষা পাবেন।
প্রোটিন শেক
সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, ঘুমানোর আগে প্রোটিন শেক পান করলে ক্যালোরি ঝরে দ্রুত। প্রোটিন শেক খেলে ঘুমানোর সময় বিপাককে হাইপারড্রাইভে প্রেরণ করতে পারে। ফলে ক্যালোরি ঝরে সহজে।
পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল বা মোমবাতি
পেপারমিন্টের গন্ধ ক্ষুধা দমন করার জন্য পরিচিত। ঘুমানোর সময় বিছানার পাশে পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল বা মোমবাতি জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
বাড়ির তাপমাত্রা শীতল রাখুন
গবেষণায় দেখা গেছে যে, শীতল আবহাওয়া ঘুমের সময় ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। কারণ ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে রক্ষার জন্য আমরা শরীর উষ্ণ রাখাতে চাই। এটি অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে বাধ্য করে।
রাতের আলো এড়িয়ে চলুন
ঘুমানোর সময় আলোর ব্যবহার করলে ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে। তাই অন্ধকারে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
এতে আপনার ঘুম হবে আরও গভীর । যা ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করতে পারে।
ডিভাইসগুলো বিছানা থেকে দূরে রাখুন
স্মার্টফোন এবং ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ঘুম নষ্ট করে। তাই এসব ডিভাইস বিছানা থেকে দূরে রাখুন। একটি নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের পরিবেশ সৃষ্টি করুন।