• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নব দম্পতির সম্পর্ক মজবুত হওয়ার ১০ টিপস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম
নব দম্পতির সম্পর্ক মজবুত হওয়ার ১০ টিপস
ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। সদ্য বিয়ে করা দম্পতির জন্য নতুন যাত্রা, নতুন অভিজ্ঞতা। দিন যত গড়াবে নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। চ্যালেঞ্জকে জয় করেই সম্পর্ক মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী করতে হয়। তবে নতুন জীবন শুরুর পর কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। নয়তো সম্পর্কের শুরুতেই ফাটল ধরতে পারে দুইজনের মধ্যে। সম্পর্কের মাঝে দূরত্বকে দূরে রাখতে এবং সম্পর্ক মজবুত করতে নবদম্পতিকে ১০টি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

মতবিরোধ ও সংযোগ বজায় রাখা
সম্পর্কে মতবিরোধ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তা কীভাবে সামাল দেবেন সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন দম্পতিরা প্রায়ই মতবিরোধের সময়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এটা হবে সম্পর্কের জন্য হুমকি। তাই একে অপরের প্রতি সম্মান বজায় রেখে মতবিরোধ মেটানো জরুরি। সময়মতো আলোচনা এবং উন্মুক্তভাবে মতামত বিনিময় করা ভালো সম্পর্ক বজায় রাখে।

আর্থিক বিষয়
বিবাহিত জীবনে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। দুইজনের মধ্যেই আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং সমন্বয় রাখা জরুরি। আয়ের উৎস, ব্যয়, সঞ্চয় এবং ঋণ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। একে অপরের সঙ্গে আর্থিক পরিকল্পনা শেয়ার করা এবং ভবিষ্যতের জন্য যৌথভাবে সঞ্চয় করলে সম্পর্ককে মজবুত করে।

পারিবারিক সম্পর্কের সম্মান
বিয়ের পরে দুইজন মানুষের পাশাপাশি দুইটি পরিবারও যুক্ত হয়। উভয়ের পরিবারকে সম্মান করা এবং সম্পর্কের মধ্যে একটি ভারসাম্য রাখতে হবে। বিশেষ করে নতুন দম্পতিদের একে অপরের পরিবারের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে আলোচনা করে সমাধান করা উচিত।

গোপনীয়তা ও ব্যক্তিগত সীমারেখা
প্রত্যেকেরই কিছু ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থাকা প্রয়োজন। দম্পতিদের একে অপরের ব্যক্তিগত স্থান এবং স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। নিজেদের সময় দেওয়া, একে অপরের সীমারেখা মেনে চলা এবং সম্পর্কের প্রতি বিশ্বাস রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দায়িত্ব
বিয়ের পর বিভিন্ন দায়িত্ব চেপে বসে। উভয়ের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি করা এবং পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। দৈনন্দিন কাজকর্মের দায়িত্ব ভাগাভাগি করলে দুইজনের বোঝাপড়া ভালো হবে।

যোগাযোগের গুরুত্ব
যোগাযোগই একটি সম্পর্কের মেরুদণ্ড। সব ধরনের সমস্যা এবং মতবিরোধের সমাধান করা যায় সঠিক যোগাযোগের মাধ্যমে। একে অপরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করবেন না। সমস্যার কথা শেয়ার করুন এবং অনুভূতির কথা জানান। সঠিক সময়ে সঠিক কথা বলার মাধ্যমে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ানো সম্ভব।

যৌনজীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা
যৌনজীবন বিবাহিত জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনেক দম্পতিই এই বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে সংকোচ বোধ করেন। তবে এটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ভুল। উভয়ের চাহিদা ও চাওয়া সম্পর্কে কথা বলা এবং পরস্পরের প্রতি যত্নশীল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সময় ও স্নেহ প্রদর্শন
বিয়ের পর সময় বের করে একে অপরের সঙ্গে ভালো সময় কাটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সম্পর্ককে আরও মজবুত করে এবং প্রেমের গভীরতা বাড়ায়। একে অপরকে ছোট ছোট উপহার দেওয়া, ভালো সময় কাটানো সম্পর্কের উত্তাপ ধরে রাখে।

আস্থা ও সমর্থন
সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস ও আস্থা। একে অপরের প্রতি আস্থা রাখা এবং সমর্থন প্রদান করা নতুন দম্পতিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলে অন্যজনকে সমর্থন দেওয়া উচিত। এটি সম্পর্কের মধ্যে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বাড়ায়। সম্পর্ককে মজবুত করে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
নতুন দম্পতিদের জন্য ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি হতে পারে আর্থিক সঞ্চয়, পরিবার পরিকল্পনা কিংবা ক্যারিয়ার উন্নতির পরিকল্পনা। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করলে উভয়ের মধ্যে একটি সামঞ্জস্যতা তৈরি হয়। সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।

Link copied!