সন্তান লালনপালন সহজ নয়। সন্তান যত বড় হয়, তত তাদের প্রতি আরও যত্নশীল হতে হয়। এককথায়, সন্তানকে বড় করা মা-বাবার জন্য়ও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সন্তানের ওপর মা-বাবার অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকে। নিজেদের যত ইচ্ছে তা সন্তানকে দিয়েই পূরণ করার চেষ্টা করেন বাবা-মা। অনেক সন্তানের এতে দ্বিমত থাকে। তারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করতে চায় না। এই পর্যায়ে বাবা-মা জোর করলে সন্তানের মানসিক বিপর্যয় হয় এবং দূরত্ব বেড়ে যায়।
সন্তানকে সময় না দেওয়া
ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। যে বাবা-মা সন্তানকে সময় দেন না তাদের সঙ্গে দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হয়। সন্তানের সঙ্গে কথা বলা, ভালো লাগা-খারাপ লাগার মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেওয়া, সন্তানকে খুশি করবে এমন বিষয়গুলো খেয়াল রাখা সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে। অন্য়থায় বাবা-মাকে কাছে না পেলে, নিজের চাহিদার কথা বলতে না পারলে দূরত্ব বেড়ে যায়।
চাপিয়ে দিচ্ছেন না তো
সন্তান যা করতে চায়, যা করতে পছন্দ করে এর গুরুত্ব দিন। সন্তানদের পছন্দের বাইরে তাকে জোর করলে মানসিক চাপ বেড়ে যাবে, যা তাদের জন্য় খুবই ক্ষতিকর। এতে সন্তান ধীরে ধীরে আপনার থেকে দূরে যেতে থাকবে।
চাওয়া পাওয়া আলাদা
প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব চাহিদা রয়েছে। নিজস্ব চাওয়া পাওয়া রয়েছে। সন্তান কোন কাজটি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে বা ভালোবাসে, তা খেয়াল রাখুন। তাকে সেই কাজটি করতে দিন। প্রয়োজনে নিজেও তাকে সঙ্গ দিন। পছন্দের কাজে বাধা দিলে সন্তান বাবা-মায়ের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকে।
কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না
অন্য ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে নিজের সন্তানের তুলনা করবেন না। এতে তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপনার সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব সৃষ্টি হবে। বাবা-মায়েরা মনে করেন, ভালো ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে তুলনা করলে তার সন্তানও ভালো কিছু করবে। এটা ঠিক নয়। বরং এতে সন্তান আরও বিরূপ প্রতিক্রিয়া করবে। নিজের সন্তানের প্রশংসা করুন।
নতুন জিনিস করতে সক্ষম
প্রত্যেকের মাঝেই নিজস্ব কিছু দক্ষতা থাকে। কোনো বিশেষ কিছুতে আগ্রহ থাকে। অনুকূল পরিবেশ পেলে তারা নতুন কিছু করতে সক্ষম হয়। খারাপ কাজের বায়না ধরলে সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন। তবে ভালো কাজ করতে চাইলে তাকে বাধা না দিয়ে বরং উৎসাহ দিন। নতুন কোথাও ঘুরতে যেতে চাচ্ছে কিংবা নতুন কিছু শুরু করতে যাচ্ছে এমন অবস্থায় সন্তানকে সহযোগিতা করুন। অন্যথায় বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব বেড়ে যায়।