শীত সকালে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ঘরের কোণে এক কাপ চা হাতে বসে আছেন। বাইরের আবহাওয়া দেখে অবসাদ অনুভব করছেন বেশ। দুপুরের রান্নার জন্য পাকঘরে যেন যেতেই ইচ্ছে করছে না, তাই-না? বরং এ সময়টাকে যদি দারুণ একটা আড্ডাবাজি হয়ে যেত, মন্দ হতো না। আর এই থেকে থেকে বৃষ্টির দিনে যদি পাতে পড়ত গরম গরম ঝরা খিচুড়ি, তাহলে তো জমেই যেত!
বাঙালি খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় খিচুড়ি অনেক ঊর্ধ্বে। তার ওপর এই ডিসেম্বরে শীত-বৃষ্টিতে ঝরঝরে ভুনা খিচুড়ি পেলে তো আর কথায় হয় না। চলুন তবে আজ জেনে নেয়া যাক কীভাবে চটজলদি বানিয়ে ফেলবেন ঝরঝরে ভুনা খিচুড়ি।
যা যা লাগবে
- মুগডাল-১ কাপ
- বাসমতী চাল-৩ কাপ
- তেল-আধ কাপ
- পেঁয়াজকুচি-১ কাপ
- সবুজ এলাচ-৬টি
- গরম মসলা-১ চা চামচ
- রসুন-১ টেবিল চামচ
- আদাবাটা-১ টেবিল চামচ
- হলুদ-১ চা চামচ
- মরিচের গুঁড়ো-১ চা চামচ
- জিরে গুঁড়ো-১ চা চামচ
- ধনে গুঁড়ো-১ চা চামচ
- লবণ-পরিমাণমতো
- কাঁচা মরিচ-৪টি
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে কড়াই গরম করে আঁচ কমিয়ে মুগডাল ভেজে নিন। মুগডাল অনবরত নাড়া দিতে থাকুন যাতে তলায় না লেগে যায়। এবার ডালের রং বাদামি হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন। এখন চাল ও মুগডাল ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরাতে রাখুন।
এবার চুলায় কড়াই গরম করে তাতে পেঁয়াজকুচি ও গরম মসলা ভেজে নিন। পেঁয়াজ বাদামি রঙ হয়ে এলে তাতে অল্প পানি দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে আদা ও রসুনবাটা দিয়ে আরও একবার নেড়ে নিন। কিছুক্ষণ সব গুঁড়ো মশলা ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। এখন চামচ দিয়ে নাড়তে নাড়তে তেল ছেড়ে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন।
কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে দেখুন, সুন্দর একটা গন্ধ আসমে মসলার। এবার চাল ও ডালের মিশ্রণটি মশলায় দিয়ে দিন। মিনিট দশেক ভাজতে থাকুন। চেরা কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। তারপর সব ভাজা হয়ে এলে তাতে গরম পানি ঢেলে দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। মিনিটখানেক পর ঢাকনা খুলে একবার নেড়ে দিন। তারপর ১০ মিনিটের জন্য দমে বসান। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখুন আপনার ঝরা খিচুড়ি প্রস্তুত হয়ে গেছে খাওয়ার জন্য।
সবশেষে সালাদ, বেগুনভাজি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। পরিবার হোক বা অতিথি অপ্যায়ন, সবার কাছে প্রশংসিত হবেন আপনি।