আশির দশকে শাড়ি ছিল প্রতিদিনের সাধারণ পোশাক। ঘরে কিংবা বাইরে শাড়ি পরতেন বাঙালি নারীরা। বর্তমানে বিশেষ অনুষ্ঠান কিংবা শুধু বাইরে গেলেই শাড়ি পরছেন। অনেকে শখ করে বাড়িতেও মাঝে মাঝে শাড়ি পরেন। এই প্রজন্মে নারীরা যখনই শাড়ি পরছেন নতুন ট্রেন্ড অনুসরণ করছেন। একটু ভিন্নভাবে নিজেকে কীভাবে আকর্ষণীয় করা যায়, তাই দেখছেন।
সুতির মিক্সম্যাচ ড্রেস, কুল শার্ট, টপস, স্কার্টসের পাশাপাশি হালকা শাড়িও এই মুহূর্তের নতুন ট্রেন্ড। শাড়িতে নারীদের লালিত্য হয়ে উঠতে ৫টি বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
কখন শাড়ি পরছেন
শাড়ি নির্বাচন করুন সময় বুঝে। মানে সময় ও উপলক্ষ বুঝে সঠিক শাড়ি পরতে হবে। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে হ্যান্ডলুম, তাঁত বা কটনের শাড়ি পরতে পারেন। রাতে জন্মদিনের পার্টি বা বিয়েবাড়িতে জমকালো শিফন, কাতান, মসলিন, সিল্ক বেছে নিন।
সঠিক রং নির্বাচন করুন
শাড়ি পরার ক্ষেত্রে সঠিক রং নির্বাচন করুন, যা আপনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। রাতের অনুষ্ঠানে গাঢ় রং এবং দিনের অনুষ্ঠানে হালকা রঙের শাড়ি নির্বাচন করুন। শুধু রঙের ওপর ভিত্তি করেই চারুতা বোঝা যায়।
ভিন্নভাবে শাড়ি পরুন
সাবেকি, আটপৌরে, সামনে কুঁচি করে, ল্যাহেঙ্গার মতো করে, বাটারফ্লাই বিভিন্ন আঙ্গিকে শাড়ি পরুন। কখন, কোন অনুষ্ঠানে কোন শাড়িতে আপনাকে মানাবে সেই অনুযায়ী শাড়ি পরুন। নিজেও রিলাক্স অনুভব করবেন।
ম্যাচিং ব্লাউজ
শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে সঠিক ব্লাউজ পরুন। ম্যাচিং ব্লাউজ না হলে আপনার সাজ অসম্পূর্ণ মনে হবে। শাড়িতে থাকা ব্লাউজ পিস মানানসই না হলে কিংবা পছন্দ না হলে নিজেই ম্যাচিং কাপড় কিনে বানিয়ে নিন। এক রঙের শাড়িতে কনট্রাস্ট ব্লাউজ পরতে পারেন, যা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে তুলবে।
গয়না পরুন
শাড়ির লুকটা সম্পূর্ণ ভাব দিতে গয়না পরুন। ম্যাচিং গয়না পরুন। শাড়ির ধরন বুঝে গয়না বাছাই করে নিন। ভারী সাবেকি শাড়ির সঙ্গে স্বর্ণের গয়না, হ্যান্ডলুমের সঙ্গে অক্সিডাইডের গয়না, শিফন শাড়ির সঙ্গে স্টোনের গয়না নির্বাচন করুন।