সন্তান বুদ্ধিমান হবে, মেধাবী হবে এই চাওয়া সব বাবা-মায়েরই থাকে। খুব সাধারণ হলেও সন্তানকে অসাধারণ করে গড়ে তোলার চেষ্টা কম-বেশি সব অভিভাবকই করেন। সন্তানকে সেরা খাবারটি খাওয়ানো, সেরা জিনিসটা দেওয়া কোনওকিছুরই যেন কমতি থাকে না। সবমিলিয়ে যোগ্য সন্তান গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন বাবা-মা।
আপনার সন্তানকে নিয়েও নিশ্চয়ই তেমনই স্বপ্ন রয়েছে। সন্তান ছোট্ট থাকতেই বুঝে নিতে পারবেন সে কতটা মেধাবী ও বুদ্ধিমান হবে। সব বাচ্চা এক রকম হয় না। বাচ্চাদের মধ্যে কিছু অভ্যাস বা লক্ষণ থাকে যা থেকে বুঝে নেওয়া যায় সে কতটা বুদ্ধিমান। বড় হয়ে সে তার লক্ষ্য নিশ্চিতে কতটা দৃঢ় হবে তার ছাপও টের পাওয়া যাবে।
বাচ্চার চরিত্রগত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও অভ্যাস দেখলেই বুঝে নিতে পারবেন সে কতটা ভালো বুদ্ধিমান। খেয়াল করে দেখুন তো, আপনার সন্তানের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে কিনা।
পড়াশোনায় আগ্রহ
বর্তমান সময়ে বাচ্চাদের লেখাপড়ায় অনেক চাপ থাকে। আপনি দেখুন তো সন্তানের পড়াশোনার প্রতি কতটুকু ঝোঁক রয়েছে। নিজে থেকে বই খাতা নিয়ে বসা, স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ সবকিছুই তার পড়াশোনার ঝোঁককে ফুটিয়ে তুলবে। প্রতিভাবান বাচ্চারা স্কুলের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করবে। স্কুলিং শুরু হওয়ার আগেও তাই বাচ্চাদের আগ্রহের জায়গাটা খেয়াল করুন। দেখবেন, বড় হয়েও পড়াশোনার সেই আগ্রহ থেকে যাবে।
স্মৃতিশক্তি কতটুকু
প্রতিভাবান বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি ভালো হয়। তারা অল্পতেই সবকিছু স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারে। এটিও সন্তানের বুদ্ধিমত্তার বহিপ্রকাশ। খেয়াল করুন, সন্তান কি দীর্ঘদিন পরও একটি বিষয় মনে রাখতে পারছে? যদি পারে তাহলে বুঝবেন সন্তানের স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়েছে। সে বুদ্ধিমান।
প্রতিভার প্রকাশ
বুদ্ধিমান ও মেধাবী বাচ্চাদের মধ্যে প্রতিভার প্রকাশ ঘটে। তাদের চিন্তাভাবনা অন্যদের চেয়ে আলাদা হয়। তারা ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করে। আবার নেতিবাচক চিন্তাকেও প্রখর দৃষ্টিতে বিবেচনা করে। বাচ্চাদের এমন গুণকে উৎসাহিত করা উচিত। তারা বড় হয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেবে।
শারীরিক-মানসিক বিকাশ
সন্তানের বিকাশ যদি সময় অনুযায়ী হয় তাহলে সে বুদ্ধিমান হবে। সঠিক সময় বসা, হাঁটা, বলা, , ধরা শেখে তবে বুঝে নিতে হবে সন্তানের বিকাশ হচ্ছে। তারা পরিপক্কভাবে বড় হচ্ছে। তাদের মানসিক বিকাশও তরান্বিত হচ্ছে।
সমস্যা কাটিয়ে উঠা
বাচ্চারা যদি নিজের সমস্যাকে সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারে তবে বুঝে নেবেন সে বুদ্ধিমান। বিচলিত না হয়ে যদি সে নিজেই বার বার চেষ্টা করে এবং সমাধান বের করতে পারে এটি তার চরিত্রের ইতিবাচক দিক হয়। বুদ্ধিমান বাচ্চারা সহজে হার মানে না। তারা সবকিছু খুঁটিয়ে দেখতে পছন্দ করে এবং সমাধান খুঁজে।
সূত্র: সাইকোলোজি স্পট