বছরের প্রথম দিন পরিবার নিয়ে দূরে কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন নিশ্চয়। কিন্তু বাধ সেধেছে আপনার শিশু। কারণ গাড়িতে উঠলেই সে বমি করতে থাকে। এরকম অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই হয়ে থাকে। যাদের ক্ষেত্রে ঘটে না, তারা ভাগ্যবান। যাত্রাপথে বমি হলে তা শুধু শিশুর জন্য নয়, সঙ্গে থাকা অভিভাবকের জন্যও ভোগান্তির বিষয়।
অনেকসময় শিশুর বমি করার ভয়ে তাকে বাড়িতে রেখে যেতে হয়, কিন্তু তা কষ্টের। তবে আপনি যদি কিছু বুদ্ধি খাটিয়ে শিশুকে নিয়ে গাড়িতে চড়েন, তাহলে এই সমস্যার সহজ সমাধান পেতে পারেন। যাতে করে আপনার ভ্রমণ হবে আনন্দদায়ক আর শিশুর মেজাজও থাকবে ফুরফুরে।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কিছু উপায় যার মাধ্যমে সহজেই শিশুর বমি বন্ধ করা সম্ভব-
ভাতের মাড়
দূরে কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে তার আগেই শিশুকে প্রস্তুত করুন। বমি থেকে দূরে রাখতে খুব ভালো কাজ করে ভাতের মাড়। এক কাপ চাল ভালো করে ধুয়ে তা দিয়ে ভাত তৈরি করে নিন। এরপর ভাতের মাড়টুকু সামান্য লবণ মিশিয়ে শিশুকে খেতে দিন। অনেক সময় শিশুর পেটে হজম সমস্যার কারণে বমিভাব হয়ে থাকে, এমন সমস্যায় এটি ভালো কাজ করে।
জিরা
বমি থামানোর ক্ষেত্রে আরেকটি উপকারী উপাদান হতে পারে জিরা। সেক্ষেত্রে প্রথমে এক চা চামচ আস্ত জিরা গুঁড়া করে নিন। এরপর গুঁড়াটুকু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে শিশুকে খেতে দিন। এতে শিশুর যাত্রাপথে বমি বন্ধ হবে।
এলাচ
বমি থামাতে কার্যকরী হতে পারে এলাচ। এই মসলার গন্ধে গা গোলানো বা মাথা ধরা ভাব অনেকটাই কমে যায়। এলাচ চিবিয়ে খেলে বমি থামার পাশাপাশি অনেকটা সতেজ অনুভূত হবে। তাই যাত্রাপথে সঙ্গে রাখুন এলাচ। শিশুকে এলাচ খেতে দিন, যাতে করে তার যাত্রাপথটা সতেজ হয়।
পেঁয়াজের রস
শিশুর বমি ভাব কমাতে দারুণ কাজ করে পেঁয়াজের রস। সেজন্য সম পরিমাণে পেঁয়াজ এবং আদার রস মিশিয়ে শিশুকে যাত্রাপথে মাঝে মাঝে খাওয়ান। এতে তার গাড়িতে চড়লে বমির সমস্যা দূর হবে।
দারুচিনি গুঁড়া
আরেকটি উপকারী মসলা আছে যা শিশুর বমি থামানোর ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। সামান্য দারুচিনি গুঁড়া করে তা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানিটুকু শিশুকে খেতে দিন। এতে শিশুর বমির সমস্যা থাকলে তা সহজেই দূর হবে।
লবঙ্গ
গাড়িতে ওঠার আগে শিশুর মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখতে পারেন। এটি তার জিহ্বার নিচে রাখতে বলুন। এর ফলে মুখে সুগন্ধ থাকার পাশাপাশি বমি, গ্যাস্ট্রিক, বুক জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি ইত্যাদি সমস্যা কমে যাবে।