বাড়ির প্রতিটি ঘরই পছন্দমতো সাজানো হয়। সন্তানের ঘর সাজাতে থাকে বাড়তি যত্ন। ছোট্ট সন্তানের ভালো লাগার কথা মাথায় রেখেই পুরো ঘর সাজানো হয়। ঘরে পর্যাপ্ত স্টোরেজ থাকলে যেমন খুশি সাজানো যায়। কিন্তু পর্যাপ্ত জায়গা যদি না থাকে তবে ঘর সাজানোর আগে কিছু টেকনিক মানতে হবে।
বাচ্চাদের খেলনা সারা বাড়িতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। এতে অনেক খেলনাই হারিয়ে যায়। এই কারণেই বাচ্চাদের শেখাতে হবে কীভাবে নিজের জিনিসগুলো গুছিয়ে নিতে হবে। বাচ্চাদের শেখানোর আগে তাদের জন্য একটি পরিষ্কার ও প্রশস্ত ঘর সাজিয়ে নিন। বাচ্চাদের ঘর সাজানোর কিছু স্টোরেজের ধারণা থাকছে এই আয়োজনে।
স্মার্ট তাক
বাচ্চাদের ঘরে তাকের ব্যবস্থা রাখুন। বাচ্চাকে শিখিয়ে নিন কীভাবে এগুলো সামঞ্জস্য করে সাজানো যায়। খেলনা ও বইগুলো ক্রমনুসারে সাজিয়ে নিন। তাকগুলো এমনভাবে বানাবেন, যা ওজন ধরে রাখতে পারে এবং জিনিসগুলো আটকে রাখতে সক্ষম হয়। প্রয়োজনে জিনিসগুলো সাজিয়ে রাখতে তাকের প্রান্তগুলো ছেঁটে নিতে পারেন। শেলফ প্যাটার্ন পরিবর্তন করুন।
বইয়ের জন্য আলাদা জায়গা নিশ্চিত করুন
বই শিশুর বেড়ে ওঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আরও বই জমতে থাকবে। বই রাখার স্টোরেজ শক্ত এবং প্রশস্ত করবেন। এমনভাবে সাজাবেন যেন সব বই সহজেই পাওয়া যায়। পাঠ্যবই, গল্পের বই আলাদাভাবে সাজিয়ে নিন। পছন্দের রং অনুসারে সাজাতে পারেন। প্রয়োজনে পাঠ্যবইগুলো ডেস্ক স্টোরেজে রাখতে পারেন।
দেয়ালে স্থাপন করুন
আপনি যদি কাস্টম-মেড আসবাবের ব্যবস্থা করে থাকেন, তবে আপনার বাচ্চাদের জন্য আরও সুবিধে হবে। বই, খেলনা এবং অন্যান্য স্কুলসামগ্রী সরবরাহের জন্য স্থান প্রয়োজন। এটিকে মাথায় রেখে অধ্যয়নের সামগ্রীর জন্য পর্যাপ্ত স্টোরেজ তৈরি করুন। একটি স্টাডি টেবিল, বিছানা দেয়ালে স্থাপন করতে পারেন। দেয়ালে তাক করে এগুলো সাজিয়ে নিতে পারেন।
দরজায় র্যাক ব্যবহার করুন
বাজারে সুন্দর র্যাক পাওয়া যায়। সেগুলো দরজায় স্থাপন করুন। সেখানে কিছু জিনিস ঝুলিয়ে রাখা যাবে। এতে বেশি জায়গারও দরকার হবে না।