• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বঙ্গবন্ধুর চেতনায় যেভাবে বড় হবে শিশুরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২২, ১০:৩৬ পিএম
বঙ্গবন্ধুর চেতনায় যেভাবে বড় হবে শিশুরা

১৭ মার্চ জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে শিশু দিবস। পুরো দিনটিতে শুধু শিশুদের নিয়েই আয়োজন থাকে। শিশুদের প্রতিভার বিকাশ, শিশুদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সচেতনতা বাড়াতেই দিবসটি পালিত হয়। সেই সঙ্গে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এই দিনটিতেই বঙ্গবন্ধু জন্মেছেন। শিশুদের প্রতি তার ভালোবাসা, চিন্তা-ভাবনা ছিল সীমাহীন। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটিকেই রাখা হয়েছে শিশু দিবসটি।

শিক্ষা-সংস্কৃতিতে আজকের শিশুদের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে বাঁচতে, শিক্ষায় শিক্ষিত হতে শিশুদের এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন তিনিই দেখেছিলেন। যার জন্য আজকের শিশুরা সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার সম্পর্কেও জানতে হবে। শিশুদের জানাতে হবে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস সম্পর্কে। কে ছিলেন এই রাষ্ট্র নেতা, কেমন ছিল তার চিন্তা-চেতনা, শিশুদের নিয়ে তার স্বপ্ন কেমন ছিল সবকিছুই জানাতে হবে আগামী প্রজন্মকে। আর সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে পরিবারসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।

মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমেই তাদের ভবিষ্যতে গৌরবময় পথ তৈরি করা যাবে। তবেই তো শিশুদের মনে তৈরি হবে পারিবারিক শ্রদ্ধাবোধ, বন্ধুত্বময় পরিবেশ। একে-অপরের প্রতি সহমর্মিতা শিখবে শিশুরা। তাদের মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটবে। অসাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা পাবে।

বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, সমাজ, মানুষ আর রাজনীতির মধ্যে যত বিভেদই থাকুক না কেন, প্রতিটি শিশুকে সাম্য ও সমতার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠতে হবে। বঙ্গবন্ধুর এই ভাবনাকেই শিশুদের মধ্যে প্রতিফলিত করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় তাদের গড়ে তুলতে হবে।

সব কুসংস্কারকে দূরে ঠেলে দিয়ে নতুনের দিকে এগিয়ে চলার শিক্ষা দিতেও বঙ্গবন্ধু বলেছেন। শিশুকে সেই পথেই এগিয়ে নিতে হবে। পরিবারের গুরুজনরা অবসর সময়ে শিশুদের গল্প শোনার সময়টাতে সেই কথাগুলোই তুলে ধরতে পারেন।

সাম্য ও সমতার বিশ্ব নির্মাণে শিশুরা আগামীর নেতৃত্ব দিবে। সেই স্বপ্ন দেখতেন বঙ্গবন্ধু। শিশুদের চেতনায় এই উপলব্ধির প্রসার ঘটালে তারা বিশ্ব জয়ের দিকে এগিয়ে যাবে। শিশুদের মধ্যে জেগে উঠবে দেশপ্রেম, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সততা, নিষ্ঠা।

তথ্যপ্রযুক্তি, বিজ্ঞান এবং সাহিত্য সংস্কৃতি সম্পর্কিত পরিপূর্ণ জ্ঞান আহরণ করে শিশুরা চিনবে বঙ্গবন্ধুকে। পরিচয় হবে বাংলাদেশের সঙ্গে। আগামীর বাংলাদেশ গড়তে কষ্টার্জিত এই স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসকে শিশুদের কাছে তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অবদানকে তুলে ধরতে হবে। আর এইসব শিক্ষার শুরুটা হবে পরিবার থেকে। বাবা-মা গুরুজনেরা এই ইতিহাস শিশুদের জানাবে। এরপর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুদের এই জ্ঞান আরও প্রসারিত হবে। তবেই তো সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন, তার বাস্তবায়ন ঘটবে।

Link copied!