ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে। পশু কোরবানির পরও ব্যস্ততা থেকেই যায়। রক্ত ও বর্জ্য পরিস্কারের প্রস্তুতিও রাখতে হয়। আশপাশের সবাই কোরবানি দেয়। তাই পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে রক্ত ও বর্জ্য পরিস্কার না করলে দুর্গন্ধ ছড়ায়। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এর জন্য় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবেও নিজেদের কিছু প্রস্তুতি রাখতে হয়। তাছাড়া শুধু কোরবানি দিলেই ব্যস্ততা শেষ হয় না, আরও কিছু কাজও থাকে।
কোরবানি পরবর্তী যেসব কাজ করতে হয় তা জানুন এই আয়োজনে_
- পশু কোরবানির পর বড় চ্যালেঞ্জ থাকে রক্ত ও বর্জ্য পরিস্কার নিয়ে। পশুর কোরবানির পর ময়লা আবর্জনা সঠিক স্থানে ফেলুন। বাড়ির আশপাশে ফেলে রাখবেন না। এতে দুর্গন্ধ ছড়াবে না এবং রোগজীবাণু থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।
- কোরবানির পর বর্জ্যগুলোতে ব্লিচিং পাউডার ও অন্যান্য পরিষ্কারক দ্রব্য দিয়ে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে পরিস্কার করে নিন।
- পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সুবিধার জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা রাখুন। মহল্লা ভিত্তিক নির্ধারিত স্থান ঠিক করুন। যেখানে সবাই ময়লা রাখবেন।
- কোরবানি পশুর গোবর ও উচ্ছিষ্ট অংশ আলাদা করে পলিথিনে রাখুন। পলিথিনের মুখবন্ধ করে দিন। এসব খোলা থাকলে রোগজীবাণু ছড়াতে পারে।
- যে স্থানে পশু কোরবানি দিচ্ছেন সেখানে রক্ত জীবাণুনাশক পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে দিন। ব্লিচিং ছিটিয়েও ধুয়ে নিতে পারেন। পানি যেন জমে না থাকে। তাহলে মশা সেখানে বংশ বিস্তার করতে পারে।
- কোরবানি পশুর চামড়া দ্রুত বিক্রি করে দিন। অথবা কোথাও দান করে দিতে পারেন। নয়তো গন্ধ ছড়াবে।
- কোরবানি পশুর মলমূত্র, রক্ত, আবর্জনা যেখানে-সেখানে না ফেলে কোথাও গর্ত করে সেখানে মাটি চাপা দিয়ে দিন।
- কোরবানির পর যে পাটিতে রেখে মাংস কাটবেন তা পুড়িয়ে ফেলুন। এটা রেখে দিলে দুর্গন্ধ ছড়াবে এবং মশাসহ পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়বে।
- বাড়ির ভেতরে মাংস কাটা হয়। তাই এই সময় বাড়ির ভেতরও পরিস্কার রাখা উচিত। মাংস রাখার জায়গাটি ভালোভাবে মুছে নিন। এরপর সেখানে মাংস রেখে বানিয়ে নিন। সব কাজ শেষে সেই জায়গাটিও ব্লিচিং দিয়ে ধুয়ে নিন। পরে গরম পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়েও পরিস্কার করে নিতে হবে।
- মাংস কাটা হলে তা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে অবশ্যই ভালো মানের পলিথিন ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে রক্ত যেন ফ্রিজে ছড়িয়ে না পড়ে তাই মাংস একবার ধুয়ে নিতে পারেন।