মানুষের শরীরিক গঠন একজন থেকে অন্যজনকে আলাদা করে। এদের মধ্যে অনেকেরই বিচিত্র শারীরিক গঠন থাকে। সেই বিচিত্র গঠনই তাকে লাইমটাইটে নিয়ে আসে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পায়ের পাতার অধিকারী হয়ে এভাবেই আলোচনায় উঠে এসেছেন জেসন ওরলেন্দো রদ্রিগেজ হার্নান্দেজ ।
ভেনিজুয়েলার বাসিন্দা জেসন ওরলেন্দো রদ্রিগেজ হার্নান্দেজ। বড় পায়ের জন্য রীতিমতো গিনেস বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠেছে এই ব্যক্তির। গিনেম রেকর্ড অনুযায়ী, জেসনের ডান পায়ের পাতার দৈর্ঘ্য ১ ফুট ৩.৭৯ ইঞ্চি ও বাঁ পায়ের পাতার দৈর্ঘ্য ১ ফুট ৩.৫৯ ইঞ্চি।
জেসন বয়সে তরুণ। তার বয়স মাত্র ২০ বছর। এই বয়সেই তার পায়ের জুতো খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। জেসন জানান, মার্কিন ২৬ সাইজ জুতা পরতে হয় তাকে। যদিও ব্র্যান্ড অনুযায়ী এই সাইজেরও ভিন্নতা থাকে।
গিনেস বুক রেকর্ডের তথ্য মতে, বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পুরুষ তুরস্কের সুলতান কোসেনের পায়ের পাতার (মার্কিন ২৪ সাইজ) চেয়েও বড় হচ্ছে জেসনের পায়ের পাতা।
জেসনের পরিবার জানায়, ৯ বছর বয়সে জেসন লক্ষ্য করেন বন্ধুদের তুলনায় তার পা বড়। বিভিন্ন সময়ই পায়ের দৈর্ঘ্য অন্যদের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতেন এবং তার পায়ের পাতাই সবচেয়ে বড় হতো। ১৪ বছরের পর থেকে জেসনের পা আরও বড় হতে থাকে। এক জুতা দুই তিন সপ্তাহের বেশি পরতে পারেননি।
পায়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়ে আতঙ্কিত হয়ে চিকিৎসকের কাছেও যান জেসনের পরিবার। চিকিৎসকরা জানান, পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে অধিক রস নিঃসরণের কারণে এমনটা হতে পারে। মানব দেহে এই রসকম নিঃসৃত হলে মানুষের আকার ছোট হয়। অধিক পরিমাণে রস নিঃসৃত হলে শরীরের যে কোনো অংশের বৃদ্ধি বেশি হয়। জেসনের পায়ের পাতার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে কারণ এটাই।
নিজের ফেসবুক দিয়ে গিনেস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জেসন। নিজের পা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। এরপরই গিনেসের লাতিন আমেরিকার কর্মকর্তারা জেসনের দাবির সত্যতা যাচাই করেন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় পায়ের পাতার অধিকারীর স্বীকৃতি দেন।
সূত্র: গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ