• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দাম্পত্য শুরুর সেই দিনটি হোক একান্ত নিজের


ঝুমকি বসু
প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২২, ০৫:২৩ পিএম
দাম্পত্য শুরুর সেই দিনটি হোক একান্ত নিজের

কিছু কিছু দিন মনের খাতায় লেখা হয়ে যায় আজীবনের জন্য। ঠিক তেমন একটা দিন– বিয়ের দিনটা। বিবাহিত দম্পতিদের ক্যালেন্ডারের পাতায় জ্বলজ্বল করে এই দিন।

আবির আর মিতুর বিয়ে হয়েছে এক বছর, এবার ওদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী। কিন্তু প্রথম বছর এই দিনটাকে কীভাবে আরও রঙিন করা যায়, তা নিয়ে ওদের চিন্তার শেষ নেই। কিংবা সাবেহ ভাই এবং মিলা ভাবির কথাই ধরুন না... ১০ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করেও এই দিনটাতে কেমনভাবে নতুনত্ব আনা যায়, তা নিয়ে প্রতি বছরই ভাবনায় পড়ে যান দুজনেই।

নতুন বা পুরনো  আপনি যেমন দম্পতিই হন না কেন, এই বিশেষ দিনটাকে আরও স্মরণীয় করতে একটা গাইডলাইন পেলে কিন্তু মন্দ হয় না। তাই আজ চলুন বিবাহবার্ষিকীর একটা গাইডলাইন তৈরি করা যাক।

  • আপনার যদি প্রথম বিবাহবার্ষিকী হয়ে থাকে, তাহলে এই দিনটা একটু জাঁকজমকভাবে পালন করতে পারেন, আত্মীয়-স্বজন আর বন্ধুদেরকে দাওয়াত করতে পারেন কোনো রেস্তোরাঁয়। একটা ব্যতিক্রমী কেক কেটে দিনটাকে উদযাপন করুন। সঙ্গীকে দিন উপহার। হতে পারে সেটা পারফিউম, ফুল, বই, পোশাক, ঘড়ি বা অন্য কোনো পছন্দের জিনিস।
  • যদি আপনার বিবাহিত জীবন ৩-৪ বছরের হয়ে থাকে তাহলে একটু অন্যভাবে পালন করতে পারেন। খুব কাছের বন্ধুদের বাসায় ডাকুন, দুজন মিলে রান্না করুন। আবার বন্ধুদের একসঙ্গে বাইরে নিয়ে হই-হুল্লর, ফুচকা, চটপটি আর আড্ডাবাজি দিনটাকে অন্যমাত্রা দেবে। তবে বন্ধুরা যেন দুজনেরই হয়। তা না হলে কিন্তু  জমবে না।
  • বিয়ের বয়স যদি হয় ১০-১৫ বছর, দাম্পত্যের রং একটু ফিকে হতেই পারে, আসতেই পারে একঘেয়েমি। জীবনের রংটাকে উজ্জ্বল করতে তাই বেছে নিন এই দিনকেই।  শুধুই দিনটা হোক দুজনের। একসঙ্গে বিয়ের অ্যালবাম বা ভিডিও দেখুন। বিকেলে যেতে পারেন পছন্দের কোনো সিনেমা দেখতে । রিকশায় অবান্তর ঘুরতে পারেন, তারপর রাতের খাবারটা খেয়ে ফেলুন কোনো রেস্তোরাঁয়। দেখবেন দিনটা একদম মনে রাখার মতোই হবে।
  • যেকোনো বিবাহবার্ষিকীতে ২-৩ দিনের পরিকল্পনা করে ঘুরে আসতে পারেন পছন্দের কোনো জায়গায়। সেটা দেশের বাইরেই হতে হবে এমন কোন মানে নেই। যেতে পারেন দেশের মধ্যেই কোথাও। এমনকি শুধু ঐদিনের জন্য কাছে কোথাও একদিনের ট্যুরের কথাও ভাবতে পারেন।  

প্রতিদিনের এই কর্মব্যস্ত জীবনে এক ছাদের নিচে এতো কাছাকাছি বাস করেও স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে সারাদিন দেখা বা কথাও হয় না। বাসায় আসার পরও সময় ছুটে চলে। তাই অন্তত বিবাহবার্ষিকীর দিনটাতে নিজেরা খুব কাছাকাছি থাকুন। দুজন দুজনকে নিয়ে ভাবুন। এই একটা দিনের অক্সিজেন দিয়ে হয়তো আপনি সারা বছর চলতে পারবেন।

Link copied!