প্রচণ্ড গরমে এখন ঘরে ঘরেই জ্বর হচ্ছে। ভাদ্র মাসে জ্বর হলে আনারস খেতে বলা হয়। প্রচলিত আছে, আনারস খেলে জ্বরের তাপমাত্রা কমে আসে। মুখের রুচিও ফিরে। কিন্তু অনেকেই কাঁচা আনারস খেতে আপত্তি করেন। বিশেষ করে অল্প বয়সী তরুণ-তরুণীরা কিংবা বৃদ্ধরা আনারস কাঁচা খেতে চান না। যাদের এমন অনীহা থাকে তাদের জন্য আনারস দিয়ে তরকারি রান্না করে ভাতের সঙ্গে খাওয়াতে পারেন। প্রিয় মুরগির সঙ্গে আনারস দিয়ে রান্না করে দেখুন অনায়াসে খেয়ে নিবে।
একঘেয়েমি মুরগির মাংসে বৈচিত্র্য আনতে আনারস দিয়ে রান্না করে ছুটির দিনের খাবার আয়োজন করতে পারেন। ‘আনারস মুরগি’ তৈরির এই সহজ রেসিপিটি জানাব এই আয়োজনে_
যা যা লাগছে_
- মুরগির মাংস- হাড় ছাড়া (আধা কেজি)
- আদা বাটা- এক চা চামচ
- রসুন বাটা- আধা চা চামচ
- সয়া সস- এক চা চামচ
- লবণ- স্বাদ মতো
- লাল মরিচ গুঁড়ো-আধা চা চামচ
- আনারস-ছোট টুকরো এক কাপ
- আনারসের রস- আধা কাপ
- লেবুর রস- দুই টেবিল চামচ
- চিনি- এক চা চামচ
- তেল- দুই টেবিল চামচ।
যেভাবে বানাবেন_
প্রথমে হাড় ছাড়া মুরগির মাংস ছোট করে কেটে নিন। আদা, রসুন, মরিচ গুঁড়ো ও সয়াসস দিয়ে মুরগির মাংস মেখে রাখুন। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।
একটি কড়াইয়ে আনারসের রস নিয়ে চুলায় দিন। চিনি দিয়ে জাল করে নিন। চিনি গলে গেলে লেবুর রস দিয়ে একটু নেড়ে নামিয়ে নিন।
এবার চুলায় একটি ননস্টিকি প্যানে তেল দিন। মেখে রাখা মুরগির মাংস ভাজুন। সামান্য পানি দিন। লবণ ছিটিয়ে ঢেকে রান্না করুন। মুরগি মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে আনারস টুকরোগুলো দিয়ে নেড়ে দিন। কিছু সময়ের জন্য় আবারও ঢেকে রাখুন। আনারস নরম হয়ে এলে চিনি আর লেবুর মিশ্রণটি দিয়ে দিন। চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না করুন। মুরগির ও আনারস মাখা মাখা হয়ে এলে হালকা নেড়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল আনারস মুরগি। ভাত কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।