বছর প্রায় শেষ। বছর শেষে ছুটিরও আমেজ থাকে। ব্যস্ততা থেকে ছুটি নিয়ে কেউ ঘুরে বেড়ান। কেউ আবার ঘরে বসেই সময় কাটান। ঘরেই চলে আড্ডা, সিনেমা দেখা। কখনও বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে, কখনও পরিবারের সবাই মিলেই ছুটি উপভোগ করেন।
ছুটির দিনটি সবার জন্য একটু আলাদা, গুরুত্বপূর্ণ দিন। ছুটির সময়টা সবাই একটু অন্যভাবে কাটাতে চান। কী করবেন তার পরিকল্পনা করতেই যেন দিনটি শেষ হয়ে যায়। তাই আগেই ভেবে রাখুন, দিনটিকে কীভাবে উপভোগ করবেন।
ছুটির দিনটি আনন্দময় ও উপভোগ্য করতে যা করবেন, এ বিষয়ে কিছু ধারণা থাকছে আজকের আয়োজনে।
- জরুরি কাজগুলো ছুটির সময়টাতে সেরে নিন। যে কাজটি অনেক দিন ধরে সময় পাচ্ছেন না বলে করা হচ্ছে না তা আগে সারুন।
- যে কাজটি করবেন বলে ঠিক করেছেন তা পরিবারের সবাই মিলে করুন। বাসার কাজগুলো স্বামী-স্ত্রী দুজনই ভাগ করে নিতে পারেন। এতে যেকোনও কাজ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। যেমন সপ্তাহের বাজার দুজন মিলেই সেরে নিতে পারেন।
- সপ্তাহজুড়ে ব্যস্ত থাকছেন। তাই ছুটির সময়টা প্রিয়জনের সঙ্গেই থাকুন। প্রিয়জনের পছন্দের কাজটি করে তাকে খুশিও করতে পারেন।
- ছুটি বলে সারা দিন ঘুমিয়ে কাটাবেন না। বিশ্রাম নেবেন অবশ্যই কিন্তু তাতে পুরো দিন নষ্ট করবেন না। পরিবারকে সময় দিন। কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।
- সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন কিংবা ডিজিটাল গ্যাজেটসের সংস্পর্শ থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব রাখুন। ই-মেইল-ফোনকল যতটুকু পারা যায়, এড়িয়ে চলুন। তথ্যের অধিক প্রবাহ ছুটির দিনে একরকম বিরক্তি তৈরি করে।
- ছুটির দিনে সারাদিনের খাবার পরিবারের সঙ্গেই খাবেন। সকালের নাস্তা, দুপুর-রাতের খাবার একই টেবিলে বসে খান। এতে গল্প করে সময়টা উপভোগ্য হবে।
- দিনটিকে অন্যভাবে উপভোগের জন্য় ছুটির দিনে বাড়িতে রান্না না করে খাবার বাইরের রেস্টুরেন্টে সেরে নিতে পারেন। আবার ছুটির সময়টা বন্ধুদের বা স্বজনদের দাওয়াত করে খাওয়াতে পারেন। আড্ডা, হৈ-হুল্লোড়ে সময়টা ভালো কাটবে।
- পরিবারের সঙ্গে সিনেমা হলে গিয়ে নতুন সিনেমা দেখতে পারেন। সিনেমা দেখা শেষে কোথাও খেয়ে বাড়ি ফিরুন। সময়টা ভালো কাটবে।
- বেশি সময়ের জন্য ছুটি হলে দূরে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। দেশ কিংবা দেশের বাইরে যেকোনও স্থানে ঘুরে আসুন। ছুটির সময়টা উপভোগ্য হবে।
- প্রিয় কাজটি করেও ছুটির সময়টা উপভোগ করতে পারেন। শখের বিষয় চর্চায় সময় দিতে পারেন। ফটোগ্রাফির আগ্রহ থাকলে ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। বাসায় নিজের পছন্দের কোনো রান্না করতে পারেন। প্রিয় লেখকের বই পড়তে পারেন।
- সন্তানকে নিয়ে দেশের ঐতিহাসিক স্থানগুলো লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, বংশাল, তাঁতীবাজার, শাঁখারীপট্টি, ফরাশগঞ্জ আর সদরঘাট ঘুরে আসতে পারেন। পুরোনো স্থাপত্যের ইতিহাস জেনে আপনার সন্তানও বেশ খুশি হবে। আপনার ছুটির সময়টাও উপভোগ্য হবে।