প্রচণ্ড গরমে ঘাম বেশি হয়। চুলের গোড়াও ঘামতে থাকে। অনবরত ঘামলে চুলে তৈলাক্ত ভাব চলে আসে। প্রতিদিন শ্যাম্পু করতে হয়। এক দিন শ্যাম্পু না করলেই চুলে তেল চিটচিটে ভাব হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দেবে লবণ।
অবাক হচ্ছেন! একদমই সত্যি। সামুদ্রিক লবণ ব্যবহার করুন চুলে। তৈলাক্ত ভাব নিমেষেই কেটে যাবে। কিন্তু কীভাবে? কিছু কৌশলে চুলের যত্নে লবণ ব্যবহার করতে পারেন। শুধু তৈলাক্ত ভাবই নয় মিটবে চুলের নানা সমস্যা।
চুলের তৈলাক্ততা
পানিতে সামুদ্রিক লবণ মিশিয়ে নিন। আবার শ্যাম্পুতেও খানিকটা লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন। তা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। লবণ মাথার ত্বকের মৃত কোষ দূর করবে এবং তেল গ্রন্থি থেকে তেল উৎপাদন কমাবে। তখনই চুলের অতিরিক্ত তেল কমে যাবে।
চুল পড়া কমবে
লবণ দিয়ে মাথার ত্বকে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। চুল পড়াও কমে আসবে। লবণ ঘষলে মাথার ত্বকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে মাথার ত্বকের ছিদ্রও সহজে খুলে যাবে। মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়বে। চুল মজবুত হবে এবং চুল পড়াও কমে আসবে।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ে
লবণে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, সালফার, ব্রোমাইড ও ক্লোরাইডের মতো খনিজগুলো থাকে। তাই লবণ দিয়ে ম্যাসাজ করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। তা ছাড়া পানিতে মিশিয়ে বা শ্যাম্পুর সঙ্গে লবণ ব্যবহার করলেও রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।
খুশকি দূর করবে
লবণ দিয়ে নিয়মিত চুলের যত্ন করুন। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করবে। লবণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ফলে মাথার ত্বকে থাকা খুশকি দূর হবে।
চুলের এক্সফোলিয়েটর
পুষ্টিতে ভরপুর সামুদ্রিক লবণ। এটি চুলের প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও দারুণ কার্যকরী। শ্যাম্পুতে লবণ ব্যবহার করলে চুল লম্বা, ঘন, মজবুত হবে। চকচকে চুলও পাওয়া যাবে।