গোপাল পূজা কেন করা হয়? গোপালের কৃপা দৃষ্টি পাওয়ার জন্যই মূলত এই পূজা করা হয়। বাড়িতে গোপাল মূর্তি স্থাপন করে এতে পূজা দেওয়া হয়। পুরো পরিবার গোপালের কৃপা দৃষ্টি লাভ করতে প্রতিদিন পুজো দেন। এই পূজা করার কিছু নিয়মাবলী রয়েছে।
প্রথমেই বাড়িতে গোপালের মূর্তি স্থাপন করা হবে। সেই বাড়ির প্রত্যেক সদস্যরা স্নান করে এবং ভগবানকে স্নান না করিয়ে, ভোগ না দিয়ে, কখনও নিজেদের খাবার খাবেন না। পুজোর পর গোপালকে স্নান করিয়ে ভোগ খাইয়ে ওই ভোগ নিজেরা খান।
বাড়ির যেই স্থানে গোপালের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে সেইখানে তুলশি কাঠের মালা অবশ্যই দরকার। শুধু তাই নয়, এটা যে ভোগ বা প্রসাদ গোপালকে দেওয়া হয় সেই ভোগ ও প্রসাদে তুলশীর পাতা যেন অবশ্যই থাকে। কারন তুলশী ছাড়া ভগবান কোনো প্রসাদ গ্রহন করেন না।
পুজো দেওয়ার সময় ধুতি পড়েই বসুন। গোপালের পুজোতে তাজা ফুল ব্যবহার করবেন। ফুল যেন বাসি না হয় খেয়াল রাখবেন।
পুজোর সময় প্রদীপে তেল ব্যবহার করে। তেল না ব্যবহার করে ঘি দিয়েই প্রদীপ জ্বালান। সকাল-সন্ধ্যা দুই বেলা প্রদীপ জ্বালাতে হবে।
পুজো আগেই অনেকই প্রসাদ খেয়ে ফেলেন। এটা করা যাবে না। এইটা করলেই ঘরের লক্ষ্মী অসন্তুষ্টি হবে।
গোপাল মূর্তি যেখানে রাখবেন সেখানে ময়ূরের পালক রাখবেন। এই ময়ূরের পালক গোপালের খুব প্রিয়।
গোপাল মূর্তির সামনে অবশ্যই ভগবত গীতা রাখা প্রয়োজন। কারণ গীতাতে অর্জুনকে দেওয়া কৃষ্ণের উপদেশ রয়েছে।
কোথাও ঘুরতে গেলে গোপালকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও কিছুক্ষনের জন্য বাড়ির বাইরে গেলে গোপালের মূর্তির ঘরে তালা লাগাবেন না। গোপালকে ছোটো বালক হিসাবে পুজো করা হয়। তাই তাকে একা রেখে যাওয়া উচিত নয়।