২১ জুলাই, পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। প্রিয় পশুকে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে কোরবানি দেওয়া হয়। কোরবানির পশুকে হাট থেকে কেনার পর থেকে এর দায়িত্ব আপনার। বাড়িতে নিয়ে এসে এদেরকে যত্নে রাখতে হয়। কুরবানি দেওয়ার আগ পর্যন্ত প্রিয় পশুদের যত্ন করতে হয়। তবেই কোরবানির যথার্থতা হয়।
কোরবানির প্রিয় পশুর যত্ন কীভাবে নিবেন, তা অনেকেরই জানা নেই। প্রিয় পশুটির যত্নের কিছু বিষয়ে জানাব এই আয়োজনে_
- হাট থেকে কোরবানির পশু কিনে দৌড়ে বাড়িতে নেওয়া কোনোভাবেই ঠিক নয়। এতে পশুটি ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে। হাট থেকে বাড়ির কাছে হলে হেঁটে নেওয়া যেতে পারে। অন্যথায় বাড়ি বেশি দূরে হলে পিকআপ ভ্যান, ট্রাক বা লড়ির ব্যবস্থা করুন।
- বাড়ির বা ভেতরেই বা পাশে কোনও স্থানে বেঁধে রাখা হয়। যেখানে পশুটি রাখবেন জায়গাটি আগেই পরিস্কার করে রাখুন। স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় পশুকে রাখবেন না।
- কোরবানির হাট থেকে এনে পশুকে সম্ভব হলে দ্রুত গোসল করানোর ব্যবস্থা করুন।
- প্রচণ্ড রোদে পশুরও কষ্ট হয়। বেশি করে পানি খাওয়াবেন। পানির সঙ্গে স্যালাইন মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
- কোরবানির পশুকে জোর করে বেশি খাবার খাওয়াবেন না। স্বাভাবিক খাবার দিন। তবে কোরবানির আগের রাতে বেশি খাবার দেওয়া যাবে না।
- পশুকে যে স্থানে রাখবেন সেখানে মশার উপদ্রব আছে কিনা খেয়াল রাখুন। মশা থাকলে কয়েল জ্বালিয়ে দিতে পারেন।
- পশুটি যখন ঘুমাবে বা বিশ্রাম নিবে অযথা জাগিয়ে তুলবেন না।
- পশুটির গায়ে আঘাত করবেন না। পশুটির যদি রাগ বেশি হয় সময় নিয়ে তাকে বশে আনার চেষ্টা করুন। অযথা আঘাত করে অআরও রাগিয়ে দিবেন না।
- পশুটি যেখানে গোবর ফেলবে সেখানে দ্রুত পরিস্কার করে নিতে পারেন। না হয় সেই গোবর গায়ে লেগে গিয়ে পশুটি আবারও নোংরা হয়ে যেতে পারে।
- পশুটি যতক্ষণ বাড়িতে রয়েছে তাকে কিছুক্ষণ পর পর দেখে আসুন। কোনকিছুর প্রয়োজন হয় কিনা খেয়াল রাখুন।